• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নবীগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ


FavIcon
মোঃ রহমত আলী, হবিগঞ্জঃ
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২২, ০৯:১০ পিএম
নবীগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিসের ডিজিএমের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জ নবীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলীবর্দি খান সুজনের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নবীগঞ্জ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনলেও আলীবর্দি খান ডিজিএমের কারণে গ্রাহকরা সে সুবিধা পাচ্ছেন না। সেবা নিতে আসা অনেক গ্রাহককে গালমন্দ করে অফিস থেকে বের করে দিয়েছেন আলী বর্দীখান ।

জানা যায়, প্রায় ৯৩০০০ হাজার গ্রাহকের নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আলীবর্দি খান দুই বছরের অধিক সময় ধরে এখানে কর্মরত আছেন। তিনি নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে আসা গ্রাহকদের কাছে অনৈতিক সুবিধা দাবি করেন।

তার দাবিকৃত উৎকোচ না দিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সুপারিশ আনতে হয়। সুপারিশ আনলেও পরে যোগাযোগ করবেন, পরে দেখা যাবে, আজ হবে না-এমন নানা অজুহাতে মাসের পর মাস তাদের কাছে ধরণা দিতে হয় গ্রাহকদের হয়রানি করছেন।।

পল্লী বিদ্যুতের খামখেয়ালীপনায় সরকার নিয়মিত রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আর ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ গ্রাহকরা। পল্লী বিদ্যুত কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা যেন নাভিশ্বাস অবস্থা বিরাজ করছে।

নবীগঞ্জ জোনাল অফিসের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা- যায় মিটার স্থানান্তর আবেদন বাবদ ৩৪৫ টাকা, হলেও অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় ও সার্ভিস ড্রপের মূল্য নেওয়া হয়, প্রতি মিটার তারের মূল নেওয়া হয় ১৪ টাকা করে, মিটার স্থানান্তর করতে ১০০ মিটার কিংবা এর বেশি যতটুকু তার লাগে সব তারের মূল্য দিতে হয় গ্রাহকদের এবং সাবেক যে তার গুলো থাকে সে গুলো কর্মরত সার্ভিস ম্যানরা অফিসে নিয়ে যান।

খোঁজ নিয়ে জানা- যায় পার্শ্ববর্তী উপজেলা বানিয়াচং জোনাল অফিসে মিটার স্থানান্তর আবেদন ফি ৩৪৫ টাকা এবং মিটার স্থানান্তর করতে ১৩০ ফুট মিটারের সার্ভিস ড্রপ তারের মূল্য ফ্রি কোন ধরনের টাকা নেওয়া হয় না,বলে জানান ইন্সপেক্টর সেবুল ইসলাম।

উপজেলার সদর ইউনিয়নের আব্দুল মান্নান জানান, তার লাইনচ্যুত মিটার গত তিন মাস আগে কাস্টমার মিটার অর্ডার (সিএমও) হলেও তিনি এখনও সংযোগ পাননি। এর কারণ, ডিজিএম আলীবর্দী খান তাকে সংযোগ সংক্রান্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সুপারিশ জমা দিতে বলেন।

পরে চেয়ারম্যানের সুপারিশ জমা দিয়েও সংযোগ মেলেনি। এ বিষয়ে কথা বলতে অফিসে গেলে ডিজিএম আমাকে ডেকে গালমন্দ করেন। অফিস থেকে বের করে দেন কখনও বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন।

হয়রানির শিকার গ্রাহক আব্দুল মান্নান বলেন, ইতোপূর্বে ডিজিএম কোন বিদ্যুৎ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল জমা থাকার কারণে লাইনচ্যুত করা হয়, পরবর্তীতে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে মিটার সাবেক জায়গায় লাগানোর জন্য গেলে উনার মিটার আর লাগনো যাবে না বলে জানান এর কারণ উনার বাবার নামে মিটার উনার বাবা একজন প্রবাসী আবার নতুন মিটারের আবেদন করতে হবে বলে জানান। এবং সাবেক মিটার দেওয়া হয় না নতুন মিটার টাকা দিয়ে কিনে আনতে হয়।

নতুন বিদ্যুৎ সংযোগের কাগজপত্র হাতে নিয়ে নবীগঞ্জ জোনাল অফিসে আসা উপজেলার ছোট আলী পুর গ্রামের খসরু মিয়া , আব্দুল খালিক , রতন মিয়া, মোর্শেদ আলীসহ অনেক গ্রাহক বলেন, ডিজিএমের অনৈতিক উৎকোচ দাবি পূরণ করতে না পেরে হয়রানির শিকার হচ্ছি।

এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জি এম মোতাহর হুসেন সাথে কথা হয় তিনি দৈনিক আমার হবিগঞ্জ কে জানান সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক যেটুকু প্রয়োজন সেটাই নেয়া হয়ে থাকে এর অতিরিক্ত কোন টাকা নেওয়া হয় না, যে টুকু জানি,অতিরিক্ত ফি অথবা কোন চার্জ নিলে তত্ত্ব প্রমাণ থাকলে আপনারা আপনাদের কাজ করতে পারেন।

নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আলীবর্দি খান সুজন বলেন, ক্ষেত্র বিশেষে গ্রাহকদের চেয়ারম্যানদের সুপারিশ আনার কথা বলেছি। তবে ঘুষ দাবিসহ গ্রাহকদের অন্যান্য অভিযোগ সত্য নয়।


Side banner
Link copied!