দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে এক পক্ষকালের মধ্যে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। চোরেরা স্কুলের কম্পিউটার, প্রিন্টার, স্ক্যানার, বায়োমেট্রিক মেশিন, প্রজেক্টর শ্যালিং ফেনসহ প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে।
দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হওয়ার পর থেকে অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারিসহ সংশ্লিষ্টরা স্কুলের মূল্যবান মালামালের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেঘœ হয়ে পড়েছেন।
তবে এ বিষয়ে পৃথকভাবে থানায় অভিযোগ দিয়েও চোরকে গ্রেপ্তার কিংবা মালামাল উদ্ধারে তেমন তৎতপরতা দেখতে পাচ্ছেন না সংশ্লিষ্টরা। তবে পুলিশ বলছে, জোর অভিযান চলছে।
জানা যায়, গত ৫ আগস্ট রাতে ফুলবাড়ী উপজেলার ১নং এলুয়ারি ইউনিয়নের গোলারঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং গত ২৩ জুলাই রাতে একই ইউনিয়নের একই এলাকার গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটের তালা ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়।
এতে চোরেরা গোলারঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লোহার গেটের তালা ও অফিস ঘরের আলমিরার তালা এবং শ্রেণি কক্ষের তালা ভেঙ্গে ১৭ টি বৈদ্যুতিক ফ্যানসহ মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। দুইটি বিদ্যালয়ের চুরি যাওয়া মালামালের আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা বলে প্রধান শিক্ষকদ্বয় দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে দুই বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে থানায় দুইটি অভিযোগ দেওয়ার পরও এখন পর্যন্ত বিদ্যালয় দু’টির চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারে তেমন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না থানা পুলিশের। এ কারণে শুধুমাত্র ওই দুই বিদ্যালয়েই নয়, অন্য বিদ্যালয়গুলোরও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিঘœ হয়ে পড়েছেন প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা।
গণিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চোরেরা বিদ্যালয়ের লোহার গেটের তালা ভেঙ্গে, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের আধুনিক হাজিরা মেশিন বায়োমেট্রিক মেশিন, কম্পিউটারের প্রিন্টার, স্ক্যানার, প্রজেক্টর, স্পিকার ও রাউটারসহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে গেছে।
গোলারঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গত ৫ আগস্ট রাতে চোরেরা বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের তালা ভেঙ্গে অফিস ও শ্রেণি কক্ষের ১৭টি ফ্যানসহ বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ নিয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা।
এক পক্ষকালের ব্যবধানে দুইটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি ঘটনায় খোদ আতঙ্কিত হয়ে পড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোসা. হাসিনা ভূঁইয়া বলেন, বর্তমানে প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লাখ লাখ টাকা মূল্যের শিক্ষা উপকরণ রয়েছে। এভাবে একের পর এক বিদ্যালয় চুরির ঘটনা সকলকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। এখন পর্যন্ত চোরদের আটক কিংবা মালামাল উদ্ধারও করতে পারেনি থানা পুলিশ।
ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয় দুইটি চুরির ঘটনায় তদন্ত এবং অপরাধি আটকের জন্য অভিযান চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :