• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংকটের মুখে বরিশাল মহানগরীর বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা


FavIcon
রেদওয়ান সিকদার রনি (ব্যুরো প্রধান )বরিশালঃ
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৯, ২০২২, ০৭:০৫ পিএম
সংকটের মুখে বরিশাল মহানগরীর বর্জ্য অপসারণ ব্যবস্থাপনা
ছবি - সংগৃহীত

বরিশাল মহানগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ক্রমশ চরম সংকটের মুখে পরেছে। দীর্ঘদিনেও নগরীর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা আধুনিক ও মানসম্মত দূরের কথা, লাগসই-টেকসই ব্যবস্থার লক্ষ্যে কোন কর্ম পরিকল্পনাই বাস্তবায়ন হয়নি।
পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রের দাবি, এখনো দীর্ঘদিনের পুরনো নগরীর ময়লা খোলা এলাকায় প্রতিদিন প্রায় তিনশ’ টন বর্জ্য অপসারণ করা হলেও তা মোটেই স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বান্ধব নয়। এমনকি গোটা নগরীর বর্জ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে পুরো ব্যবস্থাপনাই অস্বাস্থ্যকর ও পরিবেশ অনুকূল নয়। তবে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের দাবি, আধুনিক ও মানসম্মত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তবে পুরো বিষয়টি সরকারী অর্থ বরাদ্দের উপর নির্ভরশীল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ৬০ বর্গ কিলোমিটার নগরীর কম বেশী ৪৫ হাজার আবাসিক, অনাবাসিক ও বাণিজ্যিক হোল্ডিং থেকে প্রতিদিন গড়ে তিনশ’ টন বর্জ্য নগরীর রাস্তাঘাটে জমা হচ্ছে। তবে নগরীতে এখন আর কোন ডাষ্টবিনের অস্তিত্ব নেই। এমনকি গোটা নগরীতে সেকেন্ডারী ডাষ্টবিন আছে মাত্র দুটি। ফলে বিভিন্ন বাসাবাড়ির লোকজন হরহামায়াশে নগরীর রাস্তার পাশের উন্মুক্তস্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখছে। নগর ভবনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নগরীর বাসা-বাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে। পরে ওই বর্জ্য রাস্তাঘাটের নির্দিষ্টস্থানে ফেলে রাখা হয়। সেখান থেকে সিটি কর্পোরেশনের গার্বেজ ট্রাকগুলো এসব বর্জ্য সংগ্রহ করে কাউনিয়া এলাকার ময়লাখোলা বা গার্বেজ স্টেশনে নিয়ে তা অপসারণ করছে।
সূত্রমতে, একদিকে  গার্বেজ স্টেশন যেমন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মত নয়, তেমনি বছরের পর বছর ধরে সেখানে এ নগরীর ময়লার বর্জ্য জমা করতে গিয়ে এখন আর তা সম্ভবও হচ্ছেনা। ফলে খুব দ্রæত নতুন গার্বেজ স্টেশন চালু না করলে নগরীতে বর্জ্য অপসারণের কোন জায়গা খুঁজে পাওয়া যাবেনা। এমনকি নগরীতে ভয়াবহ পরিবেশ ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় ঘটারও আশংকা করছেন পরিবেশবীদসহ পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল মহল।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ডাঃ রবিউল ইসলাম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বিভিন্ন মহলের উদ্বেগের বিষয়ে কোন মন্তব্য না করে বলেন, এ বিষয়ে নগর ভবনও যথেষ্ট সচেতন। পুরনো গার্বেজ ইয়ার্ডটির সর্বোচ্চ ব্যবহারের পাশাপাশি তা যতোটা সম্ভব স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্মতভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি নগরীর চরবাড়িয়া এলাকায় বর্জ্য অপসারণে নতুন ডাম্পিং স্টেশন স্থাপনের পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি করে তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্যে সাত একর জমি হুকুম দখলসহ ভূমি উন্নয়ন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে ২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে মন্ত্রণালয়ে একটি প্রকল্প-প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ পেলে এখানে অত্যাধুনিক বর্জ্য অপসারণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
 


Side banner
Link copied!