• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সুন্দ্রাকালিকাপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ


FavIcon
মাসুম বিল্লাহ, মির্জাগঞ্জ:
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২২, ০৮:২০ পিএম
সুন্দ্রাকালিকাপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ
ছবি - সংগৃহীত

বিদ্যালয়ের মালামাল বিক্রির অর্থ আত্মসাৎ, একাধিক নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির আখড়া পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের  সুন্দ্রাকালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। আর এসব অর্থ যাচ্ছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন গাজী এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক মিয়ার পকেট। রীতিমত  যেন বিদ্যালয়টি গিলে খাচ্ছেন তারা। 

নিয়োগ বাণিজ্য সহ সুনির্দিষ্ট ১১টি খাত উল্লেখ করে পটুয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশনে তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি সদস্য মোসাঃ সালমা বেগম। অভভিযোগে জানাযায়, ২০০১ সাল থেকে প্রভাব খাটিয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত মনগড়া কমিটি বানিয়ে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়ম করে আসছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকার নিপা, শারমিন ও নুর খান নামের ৩ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়ে তাদের চাকরি দেয়নি। কিছুদিন আগে জনপ্রতি ছয় লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়ে চারজনকে নিয়োগ দেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ে পুরাতন ভবন বিক্রি বাবদ ৮ লক্ষ, বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রির ৫ লক্ষ, পুরাতন ফ্যান বিক্রির ৩৫ হাজার, টেনসিল মেশিন বিক্রির ৮০ হাজার, মটর বিক্রির ১ লক্ষ ৫০ হাজার, জেনারেটর বিক্রির ৩ লক্ষ, মাইক্রোস্কোপ বিক্রির ২ লক্ষ ৫০ হাজার, পুরাতন টিনের ঘর বিক্রির ২ লক্ষ ২০ হাজার, টাইপ মেশিন বিক্রির ৮০ হাজার  ও পাকা বাথরুমসহ লেট্রিন বিক্রির ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা মোট ৬৬ লক্ষ টাকা প্রধান শিক্ষকের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করেন সভাপতি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ফোনে একাধিক কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেনি। 

এবিষয়ে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন গাজী বলেন, এ সম্পর্কে আমি কিছু জানিনা। পটুয়াখালী দূর্নীতি কমিশনের উপ-পরিচালক মামুনুর রশিদ চৌধুরী বলেন, অভিযোগ হেড অফিসে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা পাওয়ার পরে তদন্ত করা হবে।


Side banner
Link copied!