• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বাগেরহাটে ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মাদ্রাসা সুপারের যাবজ্জীবন


FavIcon
বাগেরহাট প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২০, ০৫:৩৬ পিএম
বাগেরহাটে ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মাদ্রাসা সুপারের যাবজ্জীবন

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১১) ধর্ষণের দায়ে মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২-এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরে আলম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।মামলায় বাদীপক্ষে ১৫ জন এবং আসামিপক্ষে দুজন মিলিয়ে মোট ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন বিচারক।ধর্ষক ইলিয়াস জোমাদ্দার এ মামলায় একাই আসামি। তিনি শরণখোলা উপজেলার উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার সুপার এবং উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আবদুল গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) রণজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট সকাল ৭টায় আরবি শিক্ষা নিতে গেলে ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসার লাইব্রেরিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দার।পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস ওই ছাত্রীকে জিনে ধরার কথা বলে পানি পড়া দেন। এর পর মেয়েটির বাবা-মা স্থানীয় গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করান। একপর্যায়ে মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।ঘটনার ১১ দিন পর ১৯ আগস্ট মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) তদন্ত করে।এর পর পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইয়েদ পালিয়ে বেড়ানো মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারকে ঘটনার প্রায় দুই মাস পর ওই বছরের ১৭ অক্টোবর গ্রেফতার করেন। এর পর সুপার ইলিয়াস ধর্ষণের কথা স্বীকার করে তিন দিন পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাইয়েদ তদন্ত শেষে ধর্ষণের সত্যতা পেয়ে ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন। এর পর আদালতের বিচারক মামলাটিকে আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ৯ মার্চ চার্জ গঠন করে।এর পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে আদালতের বিচারক চিকিৎসক, পুলিশ, বাদী ও বিবাদী মিলিয়ে মোট ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।গত রোববার এ মামলার বাদী বিবাদী পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক আজ ৫ নভেম্বর রায় ঘোষণা করেন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. আলী আকবর।


Side banner
Link copied!