বিয়ের প্রলোভনে পঞ্চাশোর্ধ বিধবাকে ধর্ষণ, সালিশে অভিযুক্তকে জরিমানা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২০, ০৬:১৬ পিএম

মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের গাজিন্দা গ্রামের পঞ্চাশোর্ধ এক বিধবা নারীকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ায় স্থানীয়ভাবে সালিশ বৈঠকে অভিযুক্তকে বিয়ের দায় থেকে মুক্তি দিয়ে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।অভিযুক্ত রিপন (৪৫) প্রতিবেশী মৃত জয়নালের ছেলে। জরিমানার ১০ হাজার টাকা আদায় হলেও বাকি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা আগামী ১৩ ডিসেম্বর আদায় করে ভিকটিমকে দেয়ার কথা রয়েছে।শুক্রবার সরেজমিনে গেলে ভিকটিম জানান, ‘রিপন সম্পর্কে আমার নাতি। প্রায় দু’বছর আগে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে মাঝে-মধ্যে সে আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। গত ২৮ নভেম্বর গভীর রাতে রিপন আমাকে মোবাইল ফোনে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা হলে আশপাশের লোকজন ঘটনাটি জানতে পারে। পর দিন বিকেলে ওই গ্রামের আয়নালের বাড়িতে ছয় ঘণ্টাব্যাপী সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিশে রিপনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে বিয়ের দায় থেকে মুক্তি দেয়া হয়।ওই বৈঠকে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, আয়নাল হকের সভাপতিত্বে ও মাসুদ ইমরান খানের পরিচালনায় আব্দুর রহমান, আব্দুর রশিদ, আব্দুল গফুর, আফজাল হোসেন, নয়ন ও শরীফ মেম্বারসহ অর্ধ-শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে ওই বিচার কাজ সম্পন্ন হয়। জরিমানার দুই লাখ টাকার মধ্যে নগদ ১০ হাজার টাকা আদায় করে আব্দুর রহমানের কাছে জমা রাখা হয়েছে। বাকি এক লাখ ৯০ হাজার টাকা আগামী ১৩ ডিসেম্বর আদায় করে ভিকটিমকে দেয়ার কথা রয়েছে।ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।অভিযুক্ত রিপনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার মা হাজেরা খাতুন ঘটনাটি মীমাংসা হয়েছে বলে জানান।সালিশ পরিচালনাকারী মাসুদ ইমরান খান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জরিমানার পুরো টাকা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভিকটিমকে বুঝিয়ে দেয়া হবে।তবে এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফর রহমান বলেন, ধর্ষণের কোনো ঘটনায় স্থানীয়ভাবে সালিশ বিচারে জরিমানা করে আপস-মীমাংসার সুযোগ নেই।