• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

আমদানি মূল্য জটিলতায় হিলি স্থলবন্দরে চালের ছাড় হচ্ছে না


FavIcon
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২১, ০৯:০৬ পিএম
আমদানি মূল্য জটিলতায় হিলি স্থলবন্দরে চালের ছাড় হচ্ছে না


শনিবার (৯ জানুয়ারি) থেকে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আসা শুরু হলেও তা আমদানি মূল্য জটিলতার কারণে ছাড় করা হচ্ছে না।যদিও দীর্ঘ ২০ মাস পর চালের আমদানি শুরু হয়েছে। এই অবস্থায় গত ৩ দিন ধরে বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্টের অভ্যন্তরে ছাড়ের অপেক্ষায় পড়ে আছে প্রায় ১২’শ মেট্রিকটন চাল বোঝাই ২৬-২৭টি ভারতীয় ট্রাক।গত ২০১৯ সালের ৩০ মে সর্বশেষ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি হয়েছিল। তারপর থেকে চাল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে সরকার চালের উপর রাজস্ব বাড়িয়ে ৬২.৫ শতাংশ করে। যার ফলে চাল আমদানি বন্ধ হয়ে যায়।হিলি স্থলবন্দরের কাস্টমসের উপ-কমিশনার সাইদুল আলম জানান, বাইরের দেশ থেকে চাল আমদানি করতে হলে আমদানিকৃত চালের প্রতি মেট্রিক টনের আমদানি মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৪২০ মার্কিন ডলার। সেই মূল্য ধরে এর উপর আবার সরকারি ১৫ শতাংশ রাজস্ব আদায় করা হয়। চাল আমদানি করার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এই দিক-নির্দেশনা আছে। কিন্তু হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকারকেরা ভারত থেকে ৩৫৬ ডলারে চাল আমদানি করছেন। যা ৬৪ ডলার কম। আমদানিকারকদের কাস্টমস থেকে চাল খালাস করতে হলে ৪২০ ডলারে রাজস্ব পরিশোধের মাধ্যমে খালাস করে নিতে হবে। তাছাড়া সম্ভব নয়। কারণ চট্টগ্রাম বন্দরেও ৪২০ ডলারে দেশে চাল আমদানি হচ্ছে এবং সেই মোতাবেক রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে।এদিকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স জগদীশ চন্দ্র রায়ের সিএন্ডএফ এজেন্ট সেরেগুল ইসলাম জানান, ভারত থেকে আমরা ৩৫৬ ডলারে চাল আমদানি করেছি। গত শনিবার (৯ জানুয়ারি) থেকে সোমবার (১১ জানুয়ারি) পর্যন্ত এই তিনদিনে ২৬-২৭টি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ১২’শ মেট্রিক টন চাল বন্দরে প্রবেশ করেছে। এরপর আমরা কাস্টমসে চাল খালাস করতে গেলে তারা ৪২০ ডলার ছাড়া খালাসের অনুমতি দিচ্ছে না। এ অবস্থায় চাল খালাস কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এছাড়া কাস্টমসের আমদানি মূল্যে চাল খালাস করা হলে প্রতি কেজি চালের মূল্য পড়বে ৪০ টাকার উপরে। আর আমরা যে মূল্যে আমদানি করেছি তাতে খরচ পড়বে ৩৭ টাকার মতো। এ ব্যাপারে আমাদের আমদানিকারকেরা সোমবার (১১ জানুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয়ে বিষয়টি আবেদনের মাধ্যমে জানিয়েছেন। সেখান থেকে নির্দেশনা পেলে আমরা চাল খালাস করবো। তার আগে খালাস করছি না।তার মতে, গত ৩দিন ধরে চালগুলি ভারতীয় ট্রাকে বোঝাই অবস্থায় আছে। এতে চালের মান নষ্ট হতে পারে। তাছাড়া আমাদের অতিরিক্ত ট্রাক ভাড়া সহ বন্দরের মাশুল বেশি গুনতে হবে। কেজিতে আরও খরচ পড়ে যাবে।সম্প্রতি দেশে চালের বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সরকার ভারত থেকে বেসরকারি খাতে চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেন। এরফলে হিলিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার ২৯ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে চাল আমদানি করার অনুমতি দেন। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।

 


Side banner
Link copied!