• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝড় বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ঘরের চালে পলিথিন


FavIcon
মোঃ রহমত আলী, হবিগঞ্জঃ
প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২১, ০২:৫৩ পিএম
ঝড় বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ঘরের চালে পলিথিন
এক হত দরিদ্র একটু মাথা গুজার জীবন যুদ্ধে

মানুষের মৌলিক অধিকারের অংশ হিসেবে আশ্রয়হীন মানুষেকে দালান ঘর বানিয়ে দিচ্ছেন সরকার । আর দেশের বিপুল সংখ্যাক গৃহহীন মানুষের স্থায়ী ভাবে আবাসনের স্বপ্ব পুরণ হচ্ছে দিনে দিনে।
সেখানে এমনি এক হত দরিদ্র একটু মাথা গুজার জীবন যুদ্ধে  স্ত্রী সন্তানদের ঝড় বৃষ্টি থেকে বাঁচানোর তাগিদে অর্থের অভাবে ঘরের চালে পলিথিন টানিয়ে আশ্রয়ের চেষ্টা করছেন।
তিনি হলেন হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের  উত্তর-পূর্ব ভাদৈ গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মোঃ ছামাদ মিয়া (৬৬)। সাধ ছিলো দশ জনের মতো তিনিও একটি ইটের তৈরী  সুন্দর বসত ঘর নির্মাণ করে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে জীবন কাটাবেন।  দির্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন  দারিদ্রতার কাছে বার বার হেরে গিয়ে পাকা ঘর বানানোর সাধ মিটাতে পারছেন না আজও।
তিনি  ছন-বাঁশ দিয়ে ঘর বানিয়ে বসবাস করতেন। কয়েক বছর  আগে কম দামের টিন দিয়ে কোনো রকম তার বসত ভিটায় একটি ছোট ঘর তৈরী করেন।এখন টিন ছিদ্র হয়ে গেছে। অর্থের অভাবে ঘরের চালে উন্নত টিন লাগাতেও পারছেন না। বৃষ্টি হলে ঘরের ভিতরে জলমগ্ন হয়ে যায়। তাই তিনি পলিথিন টানিয়ে দেন চালের উপর। মাঝে মাঝে বাতসে উড়িয় দেয় পলিথিন।এমন অবস্থায় কোথায় গিয়ে দাড়াবেন দিশে হারা হয়ে পরেছেন ছামাদ মিয়া।তার সাথে কথা বললে তিনি জনান, পারিবারিক জীবনে  স্ত্রী ও তিন মেয়ে। বড় দুই মেয়েকে দার-কর্জ করে কোনো মতে বিয়ে দিয়েছেন । ছোট মেয়ে  ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া লেখা করেছে। অর্থের অভাবে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে পারেননি। দিন দিন মেয়ের বিয়ের বয়সও হচ্ছে।তিনি বলেন৷ শৈশবেই পিতাকে হারান তাই পড়া লেখা করার সু-ভাগ্য হয়নি তার।নিরক্ষরতার বুঝা নিয়ে  শ্রম বিক্রির  মাধ্যমে রিক্সা চালিয়ে  সংসার চালানোর দায়িত্বে নিয়োজিত করেন নিজেকে।ছোট বেলা থেকেই পরিশ্রমের কাজ  করেন। জীবনের সবটুকু সময় ব্যয় করে  আজও ভাগ্যের ফুল ফোটাতে পারেননি।কঠোর পরিশ্রমের গ্লানি টেনে শুধু  দু'মুঠো ভাত আর পরনের কাপড় ছাড়া কিছুই জুটাতে পারেন না তার জীবনে।একটি পাকা ঘরের দাবিতে জনপ্রতিনিধি ও বৃত্তবানদের প্রতি বার বার আবেদন জানিয়ে নিষ্পল হয়েছেন বলে জানান ছামাদ মিয়া।
 


Side banner
Link copied!