• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশাল নগরীতে মাদক ও সন্ত্রাসী মনির বাহিনীর হামলায় বাবা-ছেলে আহত


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৫, ২০২১, ০৫:৪৫ পিএম
বরিশাল নগরীতে মাদক ও সন্ত্রাসী মনির বাহিনীর হামলায় বাবা-ছেলে আহত
বরিশাল নগরীতে মাদক ও সন্ত্রাসী মনির বাহিনীর হামলায় বাবা-ছেলে আহত

বরিশাল নগরীর কোতয়ালী মডেল থানাধীন ১০নং ওয়ার্ডস্থ ভাটারখাল ফুট ঘার্টের গলির মাথায় পাকা রাস্তার উপর বাবা মোঃ হাসেম ফরাজী (৫০) ছেলে মোঃ ইশা ফরাজী @ জিসান (১৮) জিসান বরিশাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্র তার উপর ০২/১২/২০২১ তারিখ বিকাল ও সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মাদক ও সন্ত্রাসী মনির ও মুন্না ফরাজী এবং মিঠু ও কবির , ঝুমুর বেগম বাহিনীরসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন সন্ত্রাসীরা মিলে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী মারধরের ঘটনা ঘটায়। এতে আহত হয় বাবা ও ছেলে দুই জন।

আহতরা ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী স্থানীয়রা বাবা হাসেম ফরাজী ছেলে মোঃ ইশা ফরাজী @ জিসানকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উক্ত হাসপাতালের MSU-IV বিভাগে ভর্তি রাখিয়া চিকিৎসা প্রদান করেন, যাহার রেজিঃ নং-৫৬৫৫৪/১৫৩। সূত্রে জানা যায়, এই ঘটনা নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়েল করেন মামলার আহত হাসেম ফরাজী মেয়ে বাদীঃ মোসাঃ হাসি আক্তার (২৪) মামলা বিবরণ বলা কিছু কথা: পিতা-মোঃ হাসেম ফরাজী, মাতা- আঞ্জুমান বেগম (৪০), স্বামী মোঃ ইমরান, স্থায়ী সাং-বান্দ রোড, ভাটার খাল, ১০নং ওয়ার্ড, থানা-কোতয়ালী, জেলা-বরিশাল, এ/পি-আমানতগঞ্জ, বেলতলা, ০৬নং ওয়ার্ড, থানা-কোতয়ালী, জেলা বরিশাল।

মামলার আসামীদের পরিচয় :
১। মোঃ মনির ফরাজী (৪৫), পিতা অজ্ঞাত, ২। মোঃ মুন্না ফরাজী (২২), পিতা-মোঃ মনির ফরাজী, মাতা-মোসাঃ ঝুমুর বেগম, উভয় সাং-বান্দ রোড, ভাটার খাল, ১০নং ওয়ার্ড, থানা-কোতয়ালী, জেলা- বরিশাল, ৩। মোঃ কবির (৪২), পিতা-অজ্ঞাত, ৪। মোঃ মিঠু (২০), পিতা-মোঃ কবির, উভয় সাং-হিরন নগর, থানা-বন্দর, জেলা-বরিশাল সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন।

ঘটনাস্থলঃ ১ম ঘটনাস্থল : কোতয়ালী মডেল থানাধীন ১০নং ওয়ার্ডস্থ ভাটারখাল ফুট ঘার্টের গলির মাথায় পাকা রাস্তার উপর। ২য় ঘটনাস্থল : কোতয়ালী মডেল থানাধীন ১০নং ওয়ার্ডস্থ ভাটারখাল কোষ্ট গার্ড রফিকের চায়ের দোকানের সামনে।ঘটনার তারিখ ও সময়ঃ ১ম ঘটনার সময়ঃ ইং ০২/১২/২০২১ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩:০০ ঘটিকা। ২য় ঘটনার সময়ঃ ইং ০২/১২/২০২১ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকা।

আসামীরা কি ভাবে কাহিনী ঘটিয়েছেন তার বিবারণ :
২নং বিবাদী মোঃ মুন্না ফরাজী এলাকায় বখাটে ও মাদক ব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। এলাকার সাধারন মানুষদের মারপিট করা এবং অহেতুক ঝগড়া বিবাদ করা ২নং বিবাদীর পেশা। ভাটারখাল এলাকার পরিবেশ ভাল না থাকায় আমরা স্ব-পরিবারে আমানতগঞ্জ, বেলতলা ভাড়াটিয়া হিসাবে বসবাস করি। ইং ০২/১২/২০২১ তারিখ বিকাল অনুমান ০২:৫০ ঘটিকার সময় আমার ভাই ১নং সাক্ষী সহ ৩ ও ৪নং সাক্ষীদ্বয় এবং তাহাদের বন্ধু বান্ধব আরো অনেকে কোতয়ালী মডেল থানাধীন ১০নং ওয়ার্ডস্থ ভাটারখাল ফুর্ট ঘার্টের গলির মাথায় চা খাওয়ার জন্য যায়। পরবর্তীতে ইং ০২/১২/২০২১ তারিখ বিকাল অনুমান ০৩:০০ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদীর নেতৃত্বে ২নং বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বিবাদী বে-আইনি জনতাবদ্ধে ঘটনাস্থলে আসিয়া ২নং বিবাদী সাক্ষীদের বলে গত কাল ০১/১২/২০২১খ্রিঃ তারিখ রাতে এখান হইতে তাহাদের টাকা ছিনতাই হইয়াছে।

উক্ত ছিনতাই আমার ভাই সহ ৩ ও ৪নং সাক্ষীদ্বয় করিয়াছে মর্মে মিথ্যা অপবাদ দেয়। তখন উক্ত ১, ৩ ও ৪নং সাক্ষীগণ প্রতিবাদ করিলে ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন বিবাদীরা ১, ৩ ও ৪নং সাক্ষীগণদের এলোপাথারী মারপিট শুরু করে। এই সময় ১নং বিবাদীর হাতে থাকা ইট দিয়া দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং সাক্ষীর মাথার উপর আঘাত করার সময় ১নং সাক্ষী তাহার মাথা কিছুটা সরাইয়া নিলে উক্ত ইটের আঘাত ১নং সাক্ষীর ডান পার্শ্বের চোখের উপরীভাগে লাগিয়া ফাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ২নং বিবাদী ইট দিয়া ১নং সাক্ষীর নাকের উপর সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী আঘাত করিয়া ছোলা ফাটা রাক্তাক্ত জখম করে। অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা ১, ৩ ও ৪নং সাক্ষীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী কিল-ঘুষি মারিয়া নীলা ফুলা বেদনাদায়ক জখম করে। এই সময় ১, ৩ ও ৪নং সাক্ষীদের ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিলে ১ ও ২নং বিবাদীদ্বয় সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা তাহাদের ভবিষ্যতে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরবর্তীতে ৩ ও ৪নং সাক্ষীদ্বয় সহ স্থানীয় কতিপয় লোকজন চিকিৎসার জন্য ১নং সাক্ষীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ১নং সাক্ষীকে উক্ত হাসপাতালের MSU-IV বিভাগে ভর্তি রাখিয়া চিকিৎসা প্রদান করেন, যাহার রেজিঃ নং-৫৬৫৫৪/১৫৩। উক্ত ঘটনার জের ধরিয়া ২য় ঘটনার সময় : ইং ০২/১২/২০২১ তারিখ সন্ধ্যা অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকায় ৩নং বিবাদী মোঃ কবির আমার বাবা অর্থাৎ ২নং সাক্ষীকে মোবাইলে ফোনে কল করিয়া কোতয়ালী মডেল থানাধীন ১০নং ওয়ার্ডস্থ ভাটারখাল কোষ্ট গার্ড রফিকের চায়ের দোকানের সামনে ডাকিয়া নিয়া যায়। সেখানে নিয়া সকল বিবাদীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে লাহার রড ও লাঠি দিয়া ২নং সাক্ষীর পিঠে, কোমড়ে, বুকে, দুই পায়ে, হাতে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী আঘাত করিয়া ছোলা রক্তাক্ত জখম করা সহ নীলা ফুলা বেদনাদায়ক জখম করে। এই সময় উক্ত বিবাদীদের মধ্যে কেহ ২নং সাক্ষীর নিকটে থাকা ৫,৫০০/- (পাঁচ হাজার পাঁচশত) টাকা চুরি করিয়া নিয়া যায়।

এই সময় ২নং সাক্ষীর ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসিলে সকল বিবাদীরা ২নং সাক্ষী সহ আমার ভাইকে ভবিষ্যতে খুন জখম করার হুমকি প্রদান করিয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরবর্তীতে স্থানীয় কতিপয় লোকজন চিকিৎসার জন্য ২নং সাক্ষীকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার ২নং সাক্ষীকে উক্ত হাসপাতালের MSU-1 বিভাগে ভর্তি রাখিয়া চিকিৎসা প্রদান করেন, যাহার রেজিঃ নং-৫৬৬৫৪/২৫৩। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন উপরোক্ত ঘটনার সংবাদ পাইয়া তাৎক্ষনিত হাসপাতালে আসিয়া সাক্ষীদের নিকট হইতে উপরোক্ত ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনি। উক্ত ঘটনার বিষয়ে উল্লিখিত সাক্ষীগণ সহ বহু সাক্ষী প্রমান আছে, যাহা তদন্তকালে উপস্থাপন করিব। ১ ও ২নং সাক্ষীদ্বয়ের চিকিৎসা কাজে ব্যাস্ত থাকা সহ ঘটনার বিষয়ে আমার নিকটতম আত্মীয়-স্বজনের সাথে আলোচনা করিয়া থানায় আসিয়া এজাহার দায়ের করিতে বিলম্ব হইল।

এই মামলার বাদীসহ সাক্ষীগণ এখন নিরাপত্তাহীনতা আছে। এখনো মাদক ও সন্ত্রাস মনির বাহিনীরা হত্যার হুমকি দিচ্ছি এখনো পাইনি কোন আইনি সহযোগিতা। নিরবে ঘুরছে মাদক ও সন্ত্রাসী মনির বাহিনীরা ।

এবিষয় কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এর  সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন এজাহার পেয়েছি খুব দ্রুত আসামীদের আইনি আওতায় আনা হতে বলেন তিনি।
 


Side banner
Link copied!