ময়মনসিংহ সদর উপজেলার কেওয়াটখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সিরাজীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও মোটা অংকের টাকা ঘুষ বাণিজ্যে করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। জানা যায়, ২০২০ সালের ২ মার্চ কেওয়াটখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন শফিকুল ইসলাম সিরাজী। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়টি ওপেন সিক্রেট হয়ে ওঠে। স্থানীয় এক সেবা গ্রহিতা বলেন, পারিবারিক জমির নামজারির জন্য ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সিরাজীর সঙ্গে ৩৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয় তার। চুক্তি অনুযায়ী ২৫ হাজার টাকা কাজ শুরুর আগেই দেয়া হয়েছে। কাজ শেষে বাকি ১০ হাজার টাকা দিবেন বলে কাজ শুরু করতে বলেন তিনি। একইভাবে বলাশপুর এলাকার এক সেবা প্রার্থী তার দুটি নামজারির জন্য ২০ হাজার টাকা দিয়েছেন।সরজমিনে গেলে অফিসের বাইরে বেশ কয়েকজন সেবা প্রার্থীর সঙ্গে কথা হয় । তারা বলেন, ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সিরাজীর ডিমান্ড খুব বেশি। সিটি করপোরেশন হওয়ার পরে জমির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ভূমি অফিসে গ্রাহকদের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। অভিযোগের বিষয়ে কেওয়াটখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম সিরাজী বলেন, মাসে শতাধিক নামজারির আবেদন জমা পড়ে এই অফিসে। সরকার নির্ধারিত ফির বাড়তি টাকা আমরা নিই না। কে বা কারা অভিযোগ করেছে তা জানি না।
আপনার মতামত লিখুন :