• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

গুলশানে স্পার নামে সুমনার রমরমা যৌন বাণিজ্য !


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২২, ১২:৪৭ পিএম
গুলশানে স্পার নামে সুমনার রমরমা যৌন বাণিজ্য !
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর গুলশানে স্মার্ট বিউটি কেয়ার  স্পার অন্তরালে চলছে রমরমা যৌন বাণিজ্য। এদের খদ্দের উঠতি বয়সের বৃত্তবান পরিবারের সন্তানসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন মহলের ব্যক্তিরা। এসব ব্যবসা ঘিরে প্রতিদিন লেনদের হচ্ছে লাখ লাখ টাকা। আগের চেয়েও ভাল ব্যবসা করছে তারা। জনসমাগমও ভাল। ভিতরে ঘরগুলোতে ছোট ছোট ঘরের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে কেবিন। কিন্তু বাইরে থেকে ভিতরে কি হচ্ছে তা কোনোভাবেই বোঝার উপায় নাই। বিভিন্ন রংয়ের আলোয় ঝলমল করছে স্মার্ট বিউটি কেয়ার স্পা সেন্টারে । তবে বাইরের হালচাল দেখে বোঝার উপায় নাই এটা স্পা সেন্টার। আবার সিসি ক্যামেরা দ্বাড়া নিয়ন্ত্রিত স্পা সেন্টার। এতে বোঝা যাচ্ছে কে আসছে আর কে যাচ্ছে। তাদের খদ্দের হলে ভিতরে প্রবেশ করায় তা নাহলে নয়। জানা গেছে, স্পাটিতে যেধরনের স্পা করানো হয় তার মধ্যে একটি “নুরু ম্যাসেজ” যাহা বলতে শরীরের সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর জায়গাগুলোতে ম্যাসেজ করা  বোঝায়, যা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে জনপ্রিয়। ‘বডি টু বডি ম্যাসেজ’ তার চেয়েও ভয়ংকর, এটি অনেকেরই জানা। স্পা সেন্টারটির অশ্লীল বিজ্ঞাপন আর মেয়েদের প্রলোভন দেখিয়ে বডি ম্যাসেজের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অথচ তাদের কাছে নেই কোনো বৈধ কাগজপ্রত্র। শুধুমাত্র সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে ব্যায়ামাগারের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে চলছে এ ব্যবসা, চলছে অশ্লীলতা। এসব বিজ্ঞাপনগুলোতে ফেসবুকে মেয়েদের ছবি ও বর্ণনা দেয়া আছে। এ গ্রেড, বি গ্রেড ও সি গ্রেড। এরকম ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডের মেয়েদের ছবির নিচে তাদের সঙ্গ পেতে মূল্য উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ আছে নিরাপত্তার বিষয়টিও। পরিচয় গোপন করে সেবাগ্রহীতা সেজে কথা হয় গুলশানের খুসবু রেষ্টুরেন্টের উপরে অবস্থিত একটি স্পা সেন্টারের এক কর্মচারীর সাথে। তাদের কাছে কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভাই কেবলমাত্র শুরু করেছি। কিছুদিন আগেও গুলশানের ব্যবসা তেমন ভাল ছিল না। আমরা কোনমতে আবার সবকিছু গুছিয়ে শুরু করেছি। তবে আমাদের এখানে বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে। ইউনিভার্সিটিপড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে। যদি কেউ প্রশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করাতে চান তাহলে খরচ পড়বে ঘণ্টা প্রতি ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। যদি এক ঘণ্টা ফুল কাজ করেন তাহলে পড়বে পাঁচ হাজার। ভালো ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত হাজার পড়বে। তাছাড়া আমরা মূলত বডি মেসেজের ব্যাপারে কথা বলি। বাকি বিষয়গুলো ভেতরে কথা বলে নিতে হবে। এ ব্যাপারে আমরা কোনো কথা বলব না। এখানে শুধু কেন মেয়েরাই বডি মেসেজ করে ছেলেরা কেন নয় এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, এখানে মেয়েদের চাহিদা বেশি। গ্রাহকদের বড় অংশই ছেলে তাই মেয়েদের চাহিদা বেশি। পুলিশের ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, সেটা আমাদের ব্যাপার পুলিশের বিষয়টি আমরা ম্যনেজ করে চলি। সে ব্যপারে কোনো সমস্যা নাই। সূত্র মতে, স্পা সেন্টারগুলোতে একেকজন খদ্দেরকে মনোরঞ্জনের বিশ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত লেনদেন হয়।
এদিকে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানের মালিক সুমনা ওরফে সুলতানা তিনি একাধিক মানবপাচার মামলার আসামী। কয়েকবার পুলিশ তার প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে কয়েক ডজন খদ্দেরসহ ছেলে মেয়ে আটক করে। তাতেও লাভ হয়নি। এবিষয়ে তার মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 
 


Side banner
Link copied!