ফেনীঃ জেলার সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামে তানিশা ইসলাম(১১) নামে এক কিশোরীকে গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (০৬ মে) রাতে সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নের মাইজবাড়িয়া গ্রামে আনোয়ার ড্রাইভার বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত তানিশা ওই বাড়ীর প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে।সে শহরের ডাক্তারপাড়া মহিউচ্ছুন্নাহ মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।তিন ভাই বোনের মধ্যে সবার ছোট ছিল তানিশা। আগেরদিন ৫মে ছিল তার জন্মদিন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুনের সাথে জড়িত সন্দেহে নিহতের জেঠাতো ভাই আক্তার হোসেন নিশানকে(১৭) আটক করেছে পুলিশ।ঘটনাস্থলে নিশানের জুতা পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে বাড়ী থেকে আটক করা হয়।সে ওই বাড়ীর মৃত সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
এলাকাবাসীর ধারনা, তানিশাকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চেলায় নিশান ।ব্যর্থ হয়ে সে চাচাতো বোনকে খুন করে।ঘটনার সময় তানিশার মা ও বড় বোন পাশের বাড়িতে ছিলেন।তানিশার বড় ভাই মসজিদে ইতেকাফে ছিলেন।দাদিও তখন তারাবির নামাজ পড়ছিলেন বলে জানা গেছে।পরে ঘরে এসে তানিশা কে না পেয়ে খুঁজছিলেন তার মা।এসময় নিজ বাড়ীর ছাদে তানিশার রক্তাক্ত মৃত দেহ পাওয়া যায়।
ফেনী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, নিহত তানিশার গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ও রশি প্যাচানো ছিল। লাশ উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুর নবী । ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের বলেন,হত্যার কারন এখনই বলা সম্ভব নয়।এখানে সিআইডি ও পিবিআই টিম ও গোয়েন্দা সংস্থা এসেছে। আমরা বেশ কিছু তথ্য ও আলামত সংগ্রহ করেছি।নিশান নামে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। স্বল্প সময়েই এই খুনের রহস্য উদ্ধার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এদিকে তানিশাকে খুনের খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের শত শত নারী পুরুষ ওই বাড়িতে ভীড় জমায়।এসময় পুরো এলাকায় শোক ও আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
আপনার মতামত লিখুন :