• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিত্যপণ্যের দাম ঠিক রাখতে মাঠে নামছে মোবাইল কোর্ট


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: আগস্ট ২৫, ২০২১, ০২:৫৮ পিএম
নিত্যপণ্যের দাম ঠিক রাখতে মাঠে নামছে মোবাইল কোর্ট
ছবি: সংগৃহীত

কোনভাবেই  চাল, চিনি ও ভোজ্য তেলের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। এমন পরিস্থিতিতে নিত্যপণ্যের দাম বাড়া নিয়ে সরকারের অবস্থান পরিষ্কার করতে বুধবার (২৫ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে আসেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ৩ টি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ায় বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েছে। তবে এ সুযোগে নিয়ে কোনো অসৎ ব্যবসায়ী মুনাফা করার জন্য অতিরিক্ত মজুদ করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাণিজ্য সচিব বলেন, বাজারে জিনিসপত্রের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নাই। কিন্তু যেসব জিনিস আমদানি নির্ভর, সেসব জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। আমদানি দাম বেড়েছে বলে তারাও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এখন থেকে আমদানি করতে যেটুকু দাম স্থানীয় বাজারে আনুপাতিক হারে যাতে সেটুকু পারে তার জন্য মন্ত্রণালয়ে কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা এ ব্যাপারে কঠোর মনিটরিং করবেন। কিন্তু এ সুযোগ নিয়ে যারা জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেবে তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য মোবাইল কোর্ট চালানো হবে।সচিব বলেন, আমদানি মূল্য বেড়েছে শুধুমাত্র ভোজ্যতেল এবং চিনির। কিন্তু ব্যবসায়ীরা এ সুযোগে অনেক পণ্যের দামই বাড়িয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করছে। সাপ্লাই চেইন ঠিক থাকলে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না বলেও জানান বাণিজ্য সচিব।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, চিনির খুচরা মূল্য আপাতত ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকার মধ্যেই থাকবে বলে আলোচনা হয়েছে।মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, ভোজ্যতেলের দাম আগে যেটা নির্ধারণ করা হয়েছিল সেটাই থাকবে। আগস্ট মাস শোকের মাস বিবেচনায় নতুন করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ালেও সেটা পরে বিবেচনা করা হবে।বাণিজ্য সচিব বলেন, আমরা জেলা ও উপজেলা কমিটির ক্ষেত্র বিস্তৃত করব। প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বা স্বল্প আয়ের মানুষ তাদের কষ্ট লাঘবে আমরা টিসিবির অপারেশন গত বছরের তুলনায় আড়াই গুণ বাড়িয়েছি এবং টিসিবি আরও কয়েকটি পণ্য বিক্রয় করছে। আগামী মাস থেকে পেঁয়াজসহ আরও পণ্য বিক্রি শুরু হবে। আমরা সেখানেও আমদানি করছি।চালের বিষয়টি খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখছেন জানিয়ে সচিব বলেন, ইতোমধ্যে কিন্তু চাল আমদানির অনুমতি ও ২৫ শতাংশ ট্যাক্স কমানো হয়েছে। ৭ লাখ টানের বেশি আমরা অনুমতি দিয়েছি, আশা করি চালের বাজারে দাম কমে আসবে। ভোজ্য তেল এবং চিনির বিষয়ে আলোচনা করেছি। এই দুটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, বাকিগুলো কমে গেছে। এটা আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, সেটার রিফ্লেকশন হবে, তবে সেটা বাজারের নিয়মেই হবে। তার বেশি যাতে না হয় ব্যবসায়ীরা সেটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির সুযোগ নিয়ে কেউ যদি অন্যায়ভাবে ভোক্তাদের কষ্ট দেন বা অতি মুনাফা করেন, মজুদ করে রাখে সে ক্ষেত্রে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মোবাইল কোর্ট, ভোক্তা অধিকার প্রতিযোগিতা কমিশনসহ যারা আছেন তারাও সর্বত্র সতর্ক থাকবেন।এ কোভিডকালীন মানুষকে প্রশান্তির জন্য যা যা করা দরকার সে ব্যবস্থা নেবেন। সরকার এবং ব্যবসায়ীদের সমন্বয় আমরা যদি সাপ্লাই চেইন ঠিক রাখতে পারি তাহলে আমাদের যেহেতু সরবরাহে ঘাটতি নেই, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আছে তাই দ্রব্যমুল্য অবশ্যই স্থিতিশীল থাকবে।


Side banner
Link copied!