• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সবকিছুতেই ভেজাল,এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: নভেম্বর ১, ২০২২, ০৭:২৪ পিএম
সবকিছুতেই ভেজাল,এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ছবি - সংগৃহীত

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের দেশে এখন সবকিছুতেই ভেজালের সয়লাব। হোটেলের খাবারে ভেজাল, দোকানের খাবারে ভেজাল, বাজারে ভেজাল খাবারসহ সর্বত্র ভেজাল খাবার দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবে কী? এভাবে তো চলতে দেওয়া যায় না।
আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে স্বাস্থ্যসেবার মান বৃদ্ধিতে করণীয় বিষয়ে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিষাক্ত ওষুধ মেশানো ভেজাল খাদ্য দিয়ে দেশ ভরে গেছে। যে খাবারগুলো আমরা খাচ্ছি তার প্রায় সবই ভেজাল মেশানো। চাল, ডাল, মশলা, মাছ থেকে শুরু করে শাক-সবজিসহ প্রায় সব খাদ্যেই বিষ মেশানো হচ্ছে। সেই বিষ মেশানো খাবারগুলো আমরা নিজেরা খাচ্ছি, আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই খাচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষের দেহে ক্যানসার, কিডনিসহ বড় বড় জটিল রোগগুলো এখন দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে হলে এই ভেজাল কারবারিদের এখনই থামিয়ে দিতে হবে। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এটি করতে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের ভূমিকা আরও জোরালো করার পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে। ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সেটি নিয়ে পড়ে থাকলে এই ভেজাল আর বন্ধ হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, ভেজাল খাবারের কারণেই দেশে ওষুধের ব্যবসা এত বেড়ে গেছে, হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালের ফ্লোরেও রোগীদের এখন জায়গা হয় না। উন্নত দেশগুলোতে আর যাই হোক খাদ্যে বিষ মেশালে সেই কোম্পানি যত ক্ষমতাধরই হোক কোনো ছাড় দেওয়া হয় না।

তিনি বলেন, ভেজাল প্রতিরোধ করা ও নিয়ন্ত্রণ করা অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে কিন্তু চিকিৎসা তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কেই দিতে হবে। কাজেই আগামী এক মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্য খাতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টিম গঠন করে মাঠে নেমে যেতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আমরা বসে খুব দ্রুত এর সমাধান করব।
সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একে একে উপস্থিত সবার কথা শোনেন এবং সবাইকে দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কি কি ভূমিকা রাখতে হবে সে ব্যাপারে নির্দেশনা দেন।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. শামিউল ইসলাম সাদিসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


Side banner
Link copied!