• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

৪০ বছরের বেশি সবাইকে টিকাদানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর


FavIcon
অনলাইন ডেস্কঃ
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১, ০৮:৫৮ পিএম
৪০ বছরের বেশি সবাইকে টিকাদানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
৪০ বছরের বেশি সবাইকে টিকাদানের নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

যাদের বয়স ৪০ বছরের বেশি তাদের সবাইকে এবং টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের কোভিড-১৯ টিকাদানের নির্দেশ নিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।সোমবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম প্রধান এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেন, বয়স ৪০-এর বেশি সব ব্যক্তি ও টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তির পরিবার যেন কোভিড টিকা গ্রহণ করতে পারে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আজ মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

টিকাদান কর্মসূচি:

মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচির সূচনা হয়েছে। রোববার সকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারা দেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। টিকাদানের প্রথম দিন মোট ৩১ হাজার ১৬০ জনকে টিকা দেয়া হয় বলে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে টিকাদান সংক্রান্ত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।ভারতের উপহার হিসেবে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার ২০ লাখ ডোজ গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এরপর ২৫ জানুয়ারি সিরাম থেকে বাংলাদেশের ক্রয় করা কোভিশিল্ডের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ নিরাপদে ঢাকায় আসে।গত ২৭ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পরীক্ষামূলক টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চ্যুয়াল উপস্থিতিতে পাঁচজনকে টিকা দেয়া হয়।

কী পরিমাণ টিকা দেয়া হবে:

গত ২৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুর (টাঙ্গাইল-৬) এক প্রশ্নের জবাবে অগ্রাধিকারী ভিত্তিতে কাদের কী পরিমাণ কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হবে তা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভ্যাক্স সুবিধা থেকে বাংলাদেশ তার জনসংখ্যার তিন কোটি ৪০ লাখ লোকের বা ২০ শতাংশের জন্য ছয় কোটি ৮০ লাখ টিকা পাবে।তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা গ্রুপের (এসএজিই) নির্দেশিকা এবং দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে টিকা গ্রহণকারী অগ্রাধিকার গোষ্ঠীগুলোর তালিকা তৈরি করা হয়েছে।তিনি আরো জানান, প্রথম পর্যায়ে টিকা বিতরণে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দেশের মোট এক কোটি ৫০ লাখ লোক (জনসংখ্যার ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ) দুই ডোজ টিকা পাবেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই টিকাগুলো দেশের ৬৪ জেলা ইপিআই স্টোর এবং ৪৮৩টি ইপিআই স্টোরে সংরক্ষণ করা হবে।


Side banner
Link copied!