• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অবৈধ মাদকের উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে : জাতিসংঘ


FavIcon
আন্তর্জাতিক ডেক্স :
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০২২, ০৯:০৪ পিএম
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অবৈধ মাদকের উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে : জাতিসংঘ
ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অবৈধ মাদকের উৎপাদন বেড়ে যেতে পারে। জাতিসংঘ সোমবার সতর্ক করে এ কথা বলেছে।
এদিকে আফিম বাজারের ভবিষ্যত সংকটাপন্ন আফগানিস্তানের ভাগ্যের ওপর নির্ভর করছে। 

 ইউনাইটেড ন্যাশন্স অফিস অন ড্রাগস এন্ড ক্রাইম (ইউএনওডিসি) এর বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায় যুদ্ধাঞ্চলগুলো সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরির মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করে। 
এতে আরো বলা হয়, সংঘর্ষ পীড়িত এলাকা বৃহৎ ভোক্তা বাজারের কাছাকাছি হলে এর প্রভাব আরো বেশি হতে পারে। ইউএনওডিসি বলছে, ইউক্রেনে ভেঙে দেয়া অ্যাম্ফিপেটেমিন ল্যাবরেটরির সংখ্যা ২০১৯ সালে ছিল ১৭টি, যা ২০২০ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭৯ টি। বিশ্বে ২০২০ সালে জব্দ ল্যাবরেটরির এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
সংস্থাটি বলছে, যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে সিন্থেটিক ড্রাগ তৈরির সক্ষমতা ইউক্রেনের আরো বেড়ে যাবে। কারন যুদ্ধচলা কোন দেশে এ  ধরনের ল্যাবরেটরি বন্ধে তদারকি করা সম্ভব নয়।
এদিকে আফগানিস্তান প্রসঙ্গে সংস্থাটি বলছে, বিশ্বে ২০২১ সালে ৮৬ শতাংশ আফিন উৎপাদনকারী দেশ ছিল আফগানিস্তান। এই দেশটিই আফিম বাজারের ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। 
দেশটির মানবিক সংকট পপি উৎপাদন বাড়িয়ে দিতে পারে, যদিও তালেবান এপ্রিলে পপি চাষ নিষিদ্ধ করেছে।
জাতিসংঘ বলছে, আফগানিস্তানে আফিম উৎপাদনের পরিবর্তন বিশ্বের সকল অঞ্চলে আফিম বাজারের ওপর প্রভাব ফেলবে।
রিপোর্টে বলা হয়, বিশ্বে ২০২১ সালে ২৮ কোটি ৪০ লাখ লোক মাদক গ্রহণ করে অর্থাৎ  এ সংখ্যা ১৫ থেকে ৬৪ বছর বয়সী প্রতি ১৮ জনে একজন।
গত ২০১০ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেশি।
এদিকে বিশ্বে কোকেইন উৎপাদনেও নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। বিশ্বে ২০২০ সালে এক হাজার ৯৮২ টন কোকেইন উৎপাদিত হয়।


Side banner
Link copied!