• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের মহড়া


FavIcon
আন্তর্জাতিক ডেক্স :
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৭, ২০২২, ০৩:৩২ পিএম
রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্রের মহড়া
ছবি - সংগৃহীত

রাশিয়ার কৌশলগত বিশেষ বাহিনী বুধবার পরমাণু অস্ত্রের মহড়া চালিয়েছে। একইসঙ্গে দেশটি ডুবোজাহাজ থেকে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে ।
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় অনুষ্ঠিত এ মহড়া দেশটির প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন পর্যবেক্ষণ করেন। 
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, পুতিন একটি কন্ট্রোল রুম থেকে মহড়া পর্যবেক্ষণ করছেন।
এক বিবৃতিতে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পুতিনের নেতৃত্বে স্থল, সমুদ্র ও আকাশপথে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় ব্যালাস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রও উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, কৌশলগত প্রতিরক্ষা বাহিনী মহড়াকালে পরিকল্পনামতো সব কাজ সম্পন্ন করেছে।
রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপ থেকে এবং আর্কটিকের বারেন্টস সাগরে পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এ প্রশিক্ষণে টিইউ-৯৫ পারমাণবিক বোমারু বিমানও ছিল বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার এই কৌশলগত প্রতিরক্ষা বাহিনীর পরমাণু হামলা প্রতিরোধেরও সক্ষমতা রয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার এ মহড়ার কারনে ইউক্রেন যুদ্ধে দেশটি পরমাণু অস্ত্র মোতায়েন করতে পারে বলে যে উদ্বেগ রয়েছে তা আরো বেড়ে গেল। এ ছাড়া ইউক্রেন ‘ডার্টি বোমা’ ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে রাশিয়া তার অভিযোগের পক্ষে কোন প্রমাণ এখনো দেখাতে পারেনি।

যদিও সোমবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু পরমাণু উপাদানের ছবি পোস্ট করে বলেছে, ‘এটি ডার্টি বোমা তৈরির ইউক্রেনের সক্ষমতা।’ কিন্তু বুধবার স্লোভেনিয়া বলেছে, ছবিটি ২০১০ সালের তাদের নিজস্ব পরমাণু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থার।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি বলেছেন, বাখমুতের কাছে পূর্বাঞ্চলীয় দনবাস অঞ্চলে যুদ্ধ তীব্র রূপ নিয়েছে।
জাতির উদ্দেশে দেয়া দৈনিক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধ হয় দানেৎস্ক অঞ্চলে, বাখমুত ও আভদিউভকার দিকে।
এদিকে মস্কোর নিয়োগ দেয়া একজন কর্মকর্তা স্থানীয় টিভি চ্যানেলকে বলেন, এক সপ্তাহে খেরসন প্রদেশের অন্তত ৭০ হাজার লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়েছে।
উল্লেখ্য, ইউক্রেন বাহিনীর ডিনিপ্রো নদীর ডানতীরের মূল নগর এলাকা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার উদ্যোগের প্রেক্ষাপটে ক্রেমলিনপন্থী কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের বাম তীরের রুশ নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সরানোর চেষ্টা করছে।


Side banner
Link copied!