• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশ জনগনের বন্ধু-ডিসি সুদীপ


FavIcon
রিপন রুদ্র:
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৯, ১১:২২ পিএম
পুলিশ জনগনের বন্ধু-ডিসি সুদীপ

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ৮টি বিভাগে বিভক্ত। এরমধ্যে নানা কারণেই অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ বলা চলে গুলশান বিভাগ। এ বিভাগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত নিরলস সফলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করছেন নতুন উপ-পুলিশকমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম-সেবা। তবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ অবদান রাখার চেষ্টা করছেন সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বিপিএম-সেবা। কিন্তু এর আগে ডিএমপির হেড কোয়ার্টারে ও নিরলসভাবে পুলিশের দায়িত্ব যেন ঘাটতি ছিল না। রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বরুপ মিলেছে বিপিএম পদকও।তার এক সাক্ষাতকারে উঠে এসেছে তার সফলতার কারণ ও কর্ম পরিকল্পনার কথা। পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্বের কথা। কাজের চ্যালেঞ্জ ও পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব কি তাও বলেছেন অকপটে। তিনি বলেন, এককভাবে সব কাজ করা কারো পক্ষে সম্ভব নয়। টিমওয়ার্কিং, অদম্য চ্যালেঞ্জিং মানসিকতা ও ধৈর্য্যের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা একজন পুলিশ অফিসারের আসল যোগ্যতা। তবে পুলিশও মানুষ। মানুষ মাত্রই ভুল করে। কিন্তু পুলিশের পোশাকে দু’একজন অন্যায় কিংবা অপরাধ করলে আমরা পুলিশ বাহিনীর সব অর্জন ভুলে যাই। এভারেজে পুলিশের সমালোচনা হয়। হাজারো সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে যে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে হয় তা সবাই বুঝতে চায় না। আসলে পুলিশ হচ্ছে জনগনের বন্ধু। সম্প্রত্তি, দীর্ঘদিন ধরে ডিএমপির গুরত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তবে তিনি বলেন, পদ-পদবি বড় কথা নয়, বড় হচ্ছে দায়িত্ব। পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। এখানে বিশৃঙ্খল লোকের সুযোগ নেই। পুলিশে যোগ্য লোকের অভাব নেই। কিন্তু সবাই সফল হন না। কাজের টিউনিং সবাই করতে পারেন না। বলতে পারেন কিছু যোগ্য লোকের সাহচর্য আমার মিলেছে। যে কারণে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তাসহ সবই সামলানো যাচ্ছে।এদিকে তিনি আরো বলেন, পুলিশের হাজারো সীমাবদ্ধতা আছে। এর মাঝেও পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। অথচ কর্মঘণ্টার শেষ নেই। জরুরি প্রয়োজন পড়লেও ছুটি বাতিল হয়ে যায়। পুলিশের কাছে যে সব অভিযোগ আসে তার অধিকাংশই পুলিশের দায়িত্বের বাইরে। তাই অনেক সমস্যার সমাধান অনেক ক্ষেত্রে করা সম্ভব হয় না। মানুষ কিছু হলেই থানায় আসে। মামলা, জিডি এসব করতে। কিন্তু এর মূলে যে সব কারণ তা কিন্তু ভূমি, প্রতিষ্ঠান, দলীয় ব্যাপার। ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধানে পুলিশের সীমাবদ্ধতা রয়েছে।  আবার যেসব বিষয়ে পুলিশ দায়িত্বপ্রাপ্ত তা সম্পাদনের জন্য যে পরিমাণ লোকবল দরকার, তা পুলিশের নেই। কিন্তু বর্তমান সরকার তা সামলাতে পুলিশ বাহিনীতে আরো জনবল নিয়োগ দিচ্ছে। তবে পুলিশ যাই করুক না কেন এর জবাবহিদিতা রয়েছে। পুলিশ চাইলেই সব কিছু করতে পারে না। আইনের বাধ্যবাধকতা মেনেই সব কিছু করতে হয়।

পুলিশ নিয়ে কিছু কথাঃ
গালি দিলেই পুলিশ গুলি ছুড়বে এমন শিক্ষা পুলিশকে দেয়া হয়নি। আর এটাই পুলিশের বিশেষ সৌন্দর্যও বলতে পারেন। পুলিশ প্রশিক্ষিত। আর সে কারণে পুলিশের অপরাধ কেউ মানতে পারে না। তবুও পুলিশ সদস্যরা যে অপরাধ করে না তা নয়। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে তাদের অনেককে প্রত্যাহার, সাসপেন্ড করা হয়। আমার বিভাগেও দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশও পাঠানো হবে সদর দফতরে।

পুলিশের নিজস্ব কোনো ধরণের ক্ষমতা নেই। আছে দায়িত্ব। আর এই দায়িত্ব পালন করতে হয় পুলিশকে আইনের মধ্য থেকেই। আইন লঙ্ঘন নয় বরং যে শপথ নিয়ে পুলিশে আসা, সবাইকে আইনের মধ্য থেকেই সেই দায়িত্ব পালন করতে হয়। আর আমার গুলশান বিভাগে যদি কেউ অপরাধ করে তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না এবং বর্তমান সরকার মাদকের উপর জিরো টর্লারেঞ্জ ঘোসনা করেছে সেদিকে আমার গুলশান বিভাগের সকল পুলিশ কর্মকর্তরা দ্বায়ীত্ব পালন করবে বলে আমি আশা করি। মাদক বলতে কিছু থাকবে না। তাছাড়া সাংবাদিকরা আমাদের পাশে থাকলে অপরাধ নির্মূল করা সহযেই সম্ভব হতে পারে। তবে আমি একটা কথা বলতে পারি আমার গুলশান বিভাগে কোন অবৈধ কর্মকান্ড করতে দেওয়া হবে না। যদি এধরনের কোন অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তাহলে তাৎক্ষনিক আইনের আওতায় এনে সাস্থি দেওয়া হবে। সে যত বড়ই ক্ষমতাশালী হোক না কেন। কারন বর্তমান সরকার বলেনি দলীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আপনি অপরাধ করবেন তা আমাদের সরকার মেনে নিবে। আর পাশাপাশি জানাচ্ছি আমার গুলশান বিভাগের সকল পুলিশ কর্মকর্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।

 


Side banner
Link copied!