হঠাৎ করে দেশে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সরকার। সরকারের ঘোষণার পর থেকেই ফিলিং স্টেশনগুলোতে যানবাহনের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। চাপের কারণে অনেক পেট্রোল পাম্প রাতে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এমন পরিস্থিতি প্রয়োজনীয় জ্বালানি না পেয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় অনেক মোটরসাইকেল চালককে। ঘটে সড়ক অবরোধের মতো ঘটনাও। এরইমধ্যে বিভিন্ন বিভাগীয় শহরেও যান চলাচল বন্ধের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখো গেছে শত শত মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন বাসের অপেক্ষায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর কোনো কোনো রুটে একটি বাস এলেও সেটিতে ওঠার আশায় ছুটে যাচ্ছেন অনেক বেশি মানুষ। সেসব বাসগুলো আগে থেকে যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে আসছে। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বাসগুলোতে কেউ উঠতে পারছেন না।
এর সঙ্গে সকালে বাড়তি ভোগান্তি যুক্ত হয় বৃষ্টির কারণে।
সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাস্তায় চলাচল করা বাসগুলোর চালক ও সহকারীরা বলছেন, শুক্রবার রাতে আকস্মিক জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় রাস্তায় গাড়ি নামাচ্ছেন না পরিবহন মালিকরা। তারা পরিবহন ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন।
প্রসঙ্গত, ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে লিটারে ৩৪ থেকে ৪৬ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। নতুন দাম কার্যকর হয়েছে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী লিটারে ডিজেল ৩৪ টাকা, পেট্রোল ৪৪ এবং অকটেনের দাম বেড়েছে ৪৬ টাকা। প্রজ্ঞাপন বলা হয়েছে, প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা ও পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা।
আপনার মতামত লিখুন :