• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রাহকসেবাসমৃদ্ধ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে -প্রতিমন্ত্রী


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০২১, ০৯:১০ পিএম
গ্রাহকসেবাসমৃদ্ধ প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে -প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, গ্রাহকসেবাসমৃদ্ধ প্রকল্প গ্রহণ করে দ্রুত বাস্তবায়নের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার মাঝে সমন্বয় করে প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত। রোডম্যাপ অনুসারে প্রকল্প বাস্তবায়নে তদারকি বাড়ানো প্রয়োজন।প্রতিমন্ত্রী আজ অনলাইনে ‘বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের জুলাই ২০২০ থেকে জুন ২০২১ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা’ সভায় সভাপতিত্বকালে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় বিদ্যুৎ বিভাগ এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি সন্তোষজনক। মে মাসেই যেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়-এই রোড ম্যাপ বাস্তবায়ন করতে প্রকল্পসংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হয়ে কাজ করা  প্রয়োজন। এডিপি বাস্তবায়নে আরএডিপি বরাদ্দের শতভাগ ও সর্বোচ্চ বাস্তবায়নের জন্য সংস্থা প্রধানসহ সকল প্রকল্প পরিচালককে জোরালো প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।বিদ্যুৎ বিভাগে ২০২০-২১ অর্থ বছরের আরএডিপিতে ২৪ হাজার ৭৬৮ দশমিক ২২ কোটি টাকা (জিওবিতে ১০ হাজার ৮০০ দশমিক ১৮ কোটি, পিএ খাতে ১২ হাজার ৯৫৯ দশমিক ৯৯ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ৮ দশমিক ৫ কোটি টাকা) বরাদ্দ ছিল। অর্থ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত ব্যয়মীসা জিওবিতে ৯ হাজার ৬৪৫ দশমিক ১৭ কোটি, পিএ খাতে ১২ হাজার ৯৫৯ দশমিক ৯৯ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ১ হাজার ৮ দশমিক  শূন্য ৫ কোটি অর্থাৎ মোট ২৩ হাজার ৬১৩ দশমিক ২১ কোটি টাকা নির্ধারিত ছিল। জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়  জিওবিতে ৯ হাজার ৪৯৩ দশমিক  শূন্য ৪ কোটি, পিএ খাতে ১২ হাজার ৭৭২ দশমিক ৪৫ কোটি ও নিজস্ব অর্থায়নে ৮১৪ দশমিক ১৪ কোটি অর্থাৎ মোট ২৩ হাজার ৭৯ দশমিক ৬০ কোটি টাকা। আরএডিপি বরাদ্দ অনুযায়ী জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়ের শতকরা হার ৯৩ দশমিক ১৮ ভাগ আর সিলিং অনুযায়ী জুন ২০২১ পর্যন্ত ব্যয়ের শতকরা হার ৯৭ দশমিক ৭৪ ভাগ। অর্থাৎ আর্থিক অগ্রগতি ৯৭ দশমিক ৭৪ ভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগ ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৯৭ টি (বিনিয়োগ ৮২টি, পিএ ১০ টি ও নিজস্ব অর্থায়নে ৫ টি) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।সভায় বিদ্যুৎ সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, পিডিবির চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, আরইবির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন (অবঃ), পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেনসহ অন্যান্য দপ্তর প্রধানগণ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে ২০২০-২১ অর্থবছরে মোট ৩০টি (জিওবি ও বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট ৮টি,  নিজস্ব অর্থায়নে ১৬ টি ও জিডিএফ (গ্যাস উন্নয়ন তহবিল) ৬টি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থ বছরের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে আরএডিপি বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৯৫৮ দশমিক ৪৬ কোটি টাকা কিন্তু ব্যয় করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৪ দশমিক ৭৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ আর্থিক অগ্রগতি ১০৪ দশমিক ২৭ ভাগ।  যদিও আরএডিপি অনুমোদনের পর আরো ১১টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আজ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে ‘জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আওতাধীন ২০২০-২১ অর্থ বছরের আরএডিপিতে জিওবি ও বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন এবং গ্যাস উন্নয়ন তহবিলভুক্ত প্রকল্পসমূহের জুন ২০২১ পর্যন্ত  বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা’ সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।


Side banner
Link copied!