দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।
মানহানি ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের মামলায় বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) হাইকোর্ট খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিন দেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তথ্য মতে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ২০১৪ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী।
বিএনপি চেয়ারপারসন বিরুদ্ধে অভিযোগ, এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে। তার এমন বক্তব্যকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের পাশাপাশি হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদ সৃষ্টি করেছে, এমন অভিযোগ তার বিরুদ্ধে মামলাটি হয়।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ২০১৭ সালে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা করেন এ বি সিদ্দিকী।
এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালের শেষে দিকে এক অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রিত্ব চেয়েছিলেন।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতি, লুটপাট হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার, সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এসব বক্তব্যের কারণেও তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
পরে ২০১৯ সালের ২০ মার্চ খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। অবশেষে এ দুই মামলায় তিনি স্থায়ী জামিন পেলেন।
আপনার মতামত লিখুন :