• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৮, ২০২৩, ০৬:২৪ পিএম
দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে ঢাকা
ছবি - সংগৃহীত

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়। সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৯৯ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান “অস্বাস্থ্যকর”।

১০১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য “অস্বাস্থ্যকর” বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে “খুব অস্বাস্থ্যকর” বলা হয়। আর ৩০১ থেকে ৪০০ এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে “ঝুঁকিপূর্ণ” বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

পাকিস্তানের লাহোর এবং মঙ্গোলিয়ার উলানবাটর যথাক্রমে ২২৩ ও ১৯৫ একিউআই স্কোর নিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় স্থান দখল করেছে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল-বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হল, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

বায়ুদূষণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার।

তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে বায়ুদূষণের উৎসগুলো বেশি সক্রিয় থাকে। আবার এ সময় আবহাওয়াগত কিছু বিষয় থাকে, যেগুলো এ দূষণ বাড়ায়। যেমন এ সময় আর্দ্রতা বেড়ে যায়, তাপমাত্রা কমে যায়, বায়ুর চাপ বেশি থাকে। যদি দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে দূষণ কমতে পারে। কিন্তু ঢাকার বায়ুদূষণ কমাতে উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণের কোনো তৎপরতা দেখা যায় না।

তিনি আরও বলেন, নভেম্বর, ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি- শুষ্ক মৌসুমের এ ৪ মাসে বছরের ৬০ ভাগের বেশি বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। এর মধ্যে আবার জানুয়ারিতে দূষণের পরিমাণ থাকে সবচেয়ে বেশি।


Side banner
Link copied!