২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডকে। প্রায় ১১ বছর আগের ওই দলটায় ছিলেন পেসার হামিশ বেনেট। তখনকার তরুণ বেনেটের মনে নিশ্চয় বাংলাদেশ দল এখনও ভয় ধরায়।চলতি মাসে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়ে দেয়া তো আরও বেশি ভয় ধরিয়ে দিয়েছে কিউইদের। তার ওপর নতুন একটা দল এসেছে বাংলাদেশে খেলতে।
সেবার ২৩ বছর বয়সী তরুণ হলেও এবার ৩৪ বছর বয়সী দলের একজন সিনিয়র খেলোয়াড়। বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জানিয়েছেন, টাইগারদের হারিয়ে দিতে চান সিরিজ।
“আমরা দেশের দায়িত্ব পালন করতে দল হিসেবে এখানে এসেছি। এর আগেও আমি বাংলাদেশে এসেছি। সেবার ৪-০ ব্যবধানে হেরেছি। এখানে খুব বেশি সাফল্য আমরা পাইনি আমরা। এটাই আমাদের জন্য অনেক বড় প্রেরণার উৎস।”
এর আগে দুই দল ১০বার মুখোমুখি হয়েছিল টি-টোয়েন্টি ম্যাচে। কোনোবারই জয় পায়নি বাংলাদেশ। বেনেটের ইচ্ছা সিরিজটা জেতা এবং দেশে গিয়ে বলা ‘আমরা সিরিজ জিতেছি’।
“আমাদের ভালো লাগবে, যদি নিউজিল্যান্ডে ফিরে গিয়ে বলতে পারি, আমরা বাংলাদেশে সিরিজ জিতে এসেছি। আপনারা দেখেছেনই, এখানে অস্ট্রেলিয়ার কী অবস্থা হয়েছে এবং অন্য দলগুলি কতটা ধুঁকেছে।”
অস্ট্রেলিয়া বাজে ভাবে হেরেছে। একই উইকেটে খেলা হবে কিউইদের সঙ্গেও। বেনেটের এতে আপত্তি নেই। কেন না, তাদের দেশে বাংলাদেশকেও খেলতে হয় বাউন্সি আর গতিময় উইকেটে।
“বাংলাদেশ যখন নিউজিল্যান্ড সফরে যায়, আমরা গতিময় ও বাউন্সি উইকেট রাখি, যা তাদের অস্বস্তিতে ফেলে। আমরা এখানে এলে তারা টার্নিং উইকেট বানায়, যেখানে আমরা অভ্যস্ত নই। আমার তো মনে হয়, এটা দারুণ।”
বাংলাদেশে ভিন্ন কন্ডিশন আর স্পিন উইকেটে খেলতে হবে। তাই বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি কিউইরা। সফরে আসার আগে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ বিশ্লেষণ করেছে, অনেকটা একই রকম উইকেটে সেরেছে প্রস্তুতিও।
“লিঙ্কনে অনেক ব্যবহারে জীর্ণ উইকেটে খেলে প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা, যা দারুণ প্রস্তুতি। সিরিজ শুরুর আগে চার-পাঁচদিন ট্রেনিং করতে পারব আমরা। সেখানেই আশা করি বুঝতে পারব, আমাদের পরিকল্পনা এখানকার উইকেটে কতটা কাজে দেবে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওদের সিরিজটাও খুব ভালো হয়েছে আমাদের জন্য, আমরা জানতে পেরেছি, বাংলাদেশ কোন পথে এগোবে।
আপনার মতামত লিখুন :