• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে পিতা-পুত্রের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২, ০৭:২৫ পিএম
শরীয়তপুরে পিতা-পুত্রের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন
শরীয়তপুরে পিতা-পুত্রের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

সুবিচার পাওয়ার আশায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এর সামনে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পিতা-পুত্র বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়ে  মানববন্ধন করেন সাবেক নড়িয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বি এম মনির হোসেন ও তার পুত্র মালিক রাজ। এই সন্ত্রাসী হামলা কে কেন্দ্র করে ২৪ জনুয়ারি ২০২২ বেলা ১১টার সময় করোনাকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পিতা-পুত্রের উপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে।

মানববন্ধনে আহত বিএম মনির হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন আমি একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আমার পরিবারের মধ্যে স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। আমি ৯০ দশকে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ছিলাম,সাবেক নড়িয়া উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান এবং সাবেক নড়িয়া উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতি ছিলাম।আওয়ামী লীগের দুর্দিনের সময়ে শক্ত হাতে নৌকার বৈঠা ধরেছিলাম। এখন আমরা এই সময়ে নব্য আওয়ামী লীগ দ্বারা প্রকৃত আওয়ামী লীগরা  নির্যাতিত। যেমন আমি নব্য আওয়ামী লীগ দাঁড়া আমি এবং আমার ছেলে বর্বরোচিত হামলার শিকার হয়েছি।তিনি আরো বলেন তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নড়িয়া উপজেলার মুক্তারের চর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বাদশা শেখ মোটরসাইকেল মার্কা এবং নৌকা প্রতীক নিয়ে বারবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহ আলম চকিদার চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শাহ আলম চৌকিদারের পক্ষে আমি বিএম মনির হোসেন এবং আমার পুত্র মালিক রাজ নির্বাচন করি। এই নির্বাচনে বাদশা শেখ চেয়ারম্যান হিসেবে জয় লাভ করে। আমি শাহ আলম চৌকিদারের নির্বাচন করার কারণে বাদশা শেখ এবং তার পুত্র তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী গত ১৮ জানুয়ারি নড়িয়া বাজারের চৌরাস্তায় আমাকে এবং আমার পুত্রকে হত্যার উদ্দেশ্যে সন্ত্রাসী হামলা করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত অবস্থায় আমি এবং আমার পুত্র রাজ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভর্তি ছিলাম।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমি বাদী হয়ে নড়িয়া থানায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করি। ৬দিন গত হয়ে গেল নড়িয়া থানার প্রশাসন এখনো আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারে নাই। আসামিদের গ্রেপ্তারের নেই কোন তাদের তৎপরতা। আজ আমি বাধ্য হয়েছি সদর হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে সুবিচারের আশায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করতে।

নড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ অবনী শংকর কর মুঠোফোনে আলাপকালে গণমাধ্যমকে বলেন এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগ পেয়েছি, মামলা হয়েছে প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।


Side banner
Link copied!