• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

চাঁদা না পেয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউসুফ সনির উপর সন্ত্রাসী হামলা


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মে ২৭, ২০২২, ০৪:৪৩ পিএম
চাঁদা না পেয়ে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউসুফ সনির উপর সন্ত্রাসী হামলা
ছবি: সংগৃহীত

অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নজরুল ওরফে রাসেল মোড়ল চাঁদা না পেয়ে নেতৃত্ব দিয়ে কাজির হাট বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইউসুফ শনির উপর সন্ত্রাসী হামলা করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে।

শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার কাজির হাট বাজার এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ ইউসুফ শনি (৪৫) এর উপর বর্বরোচিত সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। গত ২৩ মে ২০২২ সকাল সাড়ে দশটার দিকে অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ নজরুল ওরফে  রাসেল মোড়ল এর নেতৃত্বে রিপন মুন্সি এবং তার ভাই সহ ২৫ থেকে ৩০ জন কাজির হাট বাজার এর পুরাতন বাস স্ট্যান্ড রাস্তার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র এবং লোহার হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। মোহাম্মদ ইউসুফ শনি গণমাধ্যমকে বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ কাজিরহাট বাজারে সততার সহিত মেশিনারিজ এর ব্যবসা করে আসছি।কাজির হাট বাজারে ব্যবসা করার কারণে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল রাসেল মোড়লের সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের সুবাদে অবসর কর্নেল রাসেল মোড়ল ব্যবসায়ী কথাবার্তা বলে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে আমার কাছ থেকে ১১ লক্ষ টাকা নেয়। পাওনা টাকা চাওয়ায় উল্টো আমাকে হুমকি দেয়। আমার পাওনা টাকা না দিয়ে, উল্টো আমার কাছে আরও ১০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মোবাইল ফোনে কর্নেল রাসেল মোড়লের সাথে তর্ক বিতর্ক হয়। তর্কের এক পর্যায়ে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। বলেন কি করে তুই কাজির হাট বাজারে ব্যবসা করিস, আমি দেখে নিব। গত ২৩ মে সকাল সাড়ে দশটার সময় কাজিরহাট পুরাতন বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সুলতান শিকদারকে রডের টাকা দিতে গেলে কর্নেল রাসেল মোড়লের হুকুমে রিপন মুন্সী এবং তার ভাই কমপক্ষে ২৫ থেকে ৩০ জন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে দেশীয় ধারালো অস্ত্র শস্ত্র লোহার হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। ওই সন্ত্রাসীরা আমার কাছে থাকা ৮ লক্ষ টাকা এবং গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই সন্ত্রাসীরা ককটেল ফুটিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়। জাজিরা হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দেয়। বর্তমানে আমি ঢাকা মেডিকেলে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছি। বর্তমানে আমি কর্নেল রাসেল মোড়ল এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর কাছে জীবনে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আমি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় আমার ছোট ভাই এর মাধ্যমে অভিযোগ পত্রটি জাজিরা থানায় দায়ের করি।

প্রত্যক্ষদর্শী কাদিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিএম জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বলেন গত ২৩ তারিখে আমার ঘরের রড কেনার জন্য কাজীরহাটের সুলতান শিকদারের দোকানে যাই। আমার এলাকার প্রতিবেশী ভাইগ্না ইউসুফ শনিকে কল দিয়ে বলি তুমি তাড়াতাড়ি আসো আমার টাকা লাগবে। কল দেওয়ার পর ২০ মিনিট পরে দোকানে আসে, কথা বলতে বলতেই ইউসুফ শনির ফোনে কল আসে। ইউসুফ শুনি তখন আমাকে বলে মামা ৫ মিনিট পর আসতেছি। এর মধ্যে মারামারির শব্দ শুনতে পাই,তখন  আমি দৌড়ে রাস্তার উপার গিয়ে দেখি মোটরসাইকেল গ্যারেজ এর সামনে ২০থেকে ২৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র লোহার হাতুড়ি, সেলাই রেঞ্জ, রড দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটাইতে থাকে। মারতে মারতে বলতে থাকে কর্নেল রাসেল রে কি কইছস, রাসেলের সাথে কি হইছে। ইউসুফ শনির  ছোট ভাই, ভাইকে বাঁচাইতে গেলে তাকেও  মারধোর করে।

এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব:) সৈয়দ নজরুল রাসেল মোড়লের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে গণমাধ্যমকে বলেন, কাজিরহাট মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি ভালোভাবে জানার জন্য কল দিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখি কাজীরহাটের কিছু পোলাপানের সাথে ইউসুফ শনির হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া আমি কিছুই জানিনা। একসময় ইউসুফের সাথে  ভালো সম্পর্ক ছিল। যেকোনো বিষয়ে ইউসুফ এর সাথে কথা কাটাকাটি হয় তখন থেকেই ওর সাথে তোমার একটা কথা হয়না।

জাজিরা অফিসার ইনচার্জ মিন্টু মন্ডল গণমাধ্যমকে বলেন এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি অভিযোগপত্র দায়ের হয়েছে। অভিযোগপত্রটি কারেকশন করা লাগবে। তার জন্য মামলাটি এখনোও রুজু হয়নি।


Side banner
Link copied!