• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এই সপ্তাহেই চালু হতে যাচ্ছে হাবিপ্রবির নতুন ছাত্রীহল


FavIcon
অলংকার গুপ্তা, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৩, ০৪:১৭ পিএম
এই সপ্তাহেই চালু হতে যাচ্ছে হাবিপ্রবির নতুন ছাত্রীহল
ছবি - সংগৃহীত

গত মার্চ মাসে (২০২২) সম্পূর্ণরুপে চালু হওয়ার কথা থাকলেও অবশেষে ৯ মাস পর জানুয়ারি (২০২৩) এর প্রথম সপ্তাহেই চালু হচ্ছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) নব-নির্মিত ছয় তলা বিশিষ্ট ছাত্রী হল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে রবিবার (১লা জানুয়ারি ২০২৩) মোট ৫২০ জন অনাবাসিক মেয়ে শিক্ষার্থীকে উক্ত নতুন ছাত্রী হলে সিট ও রুম নং বরাদ্দ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নব-নির্মিত ছাত্রী হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন কর্তৃক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন।
বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, যে সকল ছাত্রীদের সিট বরাদ্দ দেয়া হলো তাদেরকে আগামী ০১/০১/২০২৩ ইং তারিখ হতে ০৫/০১/২০২৩ ইং তারিখের মধ্যে আবাসিক হওয়ার জন্য নির্ধারিত অর্থ ব্যাংকে জমা দিতে হবে এবং ব্যাংক রিসিপ্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হল কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিততে হবে । উল্লেখ্য যে, উক্ত তারিখের মধ্যে সিট বরাদ্দ প্রাপ্ত কোনো ছাত্রী আবাসিক হতে ব্যর্থ হলে, তার বরাদ্দপ্রাপ্ত সিট বাতিল হয়ে যাবে। 

এছাড়াও জানা যায়, নতুন ছাত্রী হলের ৬ষ্ঠ তলা ফাঁকা আছে (যাদের প্রথম চয়েজ ৬ষ্ঠ তলা ছিলো তাদেরকেই শুধু ৬ষ্ঠ তলায় রাখা হয়েছে) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭ ও ১৮ ব্যাচের ছাত্রীদের হলে  উঠানোর পরে ১৯ ব্যাচের ছাত্রীদের জন্য খুব শীঘ্রই সার্কুলার দেওয়া হবে।

ছাত্রীদের নব-নির্মিত হলে সিট বরাদ্দের তালিকা প্রকাশের পর হল কবে নাগাদ চালু হবে এবং হলের বর্তমান সার্বিক অবস্থাসহ বিস্তারিত জানতে চাইলে নবনির্মিত ছাত্রী হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত হল সুপার অধ্যাপক ড. আফরোজা খাতুন বলেন, “যে সকল মেয়ে শিক্ষার্থীদের তালিকা নতুন হলের সিট বরাদ্দ দিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে তাদেরকে এই সপ্তাহেই অনুষ্ঠানিকভাবে চাবি হস্তান্তরের মাধ্যমে হলে উঠানো হবে। সেজন্য আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদেরকে হল অফিসে প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র জমা দিয়ে আবাসিক হতে হবে। কাগজপত্র জমা দিয়ে আবাসিক না হলে তাদেরকে চাবি দেওয়া হবে না”।

এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “প্রথমত হলে উঠার পরে কিছু অসুবিধা হবে এগুলো পর্যায়ক্রমে সমাধান করা হবে। বর্তমানে আপাতত হলে থাকা এবং খাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হচ্ছে। পরবর্তীতে টিভি রুম ও রিডিং রুম সহ যাবতীয় বিষয়গুলোর নিয়ে কাজ করা হবে"।

উল্লেখ্য, নব-নির্মিত এই আবাসিক ছাত্রী হলে কোন গণরুম থাকবে না এবং ভবনের প্রতিটি কক্ষ হবে ৪ আসন বিশিষ্ট। এছাড়াও হলটিতে প্রধান ভবন ছাড়াও তিন তলা বিশিষ্ট আলাদা একটি ভবন তৈরি করা হয়েছে। এই ভবনটির প্রথম তলায় থাকছে ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা এবং দ্বিতীয় তলায় থাকছে ক্যান্টিনের ব্যবস্থা এবং তৃতীয় তলায় থাকছে জিমনেশিয়াম এবং কমনরুমেরও ব্যবস্থা। এছাড়াও পড়াশোনা করার জন্য হলের দ্বিতীয় তলায় থাকছে রিডিং রুমেরও ব্যবস্থা। হল সুপারদের জন্য থাকবে পৃথক রুম এবং হল অফিস রুম। মেয়ে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা করার জন্য থাকছে প্লে-গ্রাউন্ড। নবনির্মিত হলটি ৭২০টি আসন বিশিষ্ট হওয়ার কথা থাকলেও আসন সংখ্যা থাকছে ৬৪০টি। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের হলে সিট বরাদ্দের সময় জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রাধান্য দেওয়া হবে এবং একই ব্যাচ ও একই ডিপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে সিজিপিএ বিবেচনা করা হয়েছে। নবনির্মিত হলের নির্দিষ্ট কোন নাম এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক চূড়ান্ত করা হয়নি বলে জানা গেছে।
 


Side banner
Link copied!