• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জেলা পরিষদের সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎতের চেষ্টা


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৪, ০১:৪৫ পিএম
জাল জালিয়াতির মাধ্যমে জেলা পরিষদের সরকারী সম্পত্তি আত্মসাৎতের চেষ্টা
ছবি: সংগৃহীত

শরীয়তপুরে জাল কাগজ সৃজনকারী একটি ভুমিচক্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জাল বয়নামা  দলিল  তৈরি করিয়া শরীয়তপুর জেলা পরিষদের সরকারি সম্পত্তি ২.৪৫ একর সম্পত্তি আত্মসাথের চেষ্টা চালাচ্ছে।সরজমিন ঘুরে এবং  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা গেছে ৮০ নং ধানুকা মৌজায় স্থায়ীভাবে বসবাসরত মৃত মোহাম্মদ বেপারীর নামে তার উত্তরসূরী ভূমিচক্র পুত্রগণেরা ৭১সি(৫৮-৫৯)সালের একটি ভুয়া বয়নামা দলিল তৈরি করেন।ভূমি চক্রের সদস্য মাইনুদ্দিন বেপারী,ফজলুল হক বেপারী,রশিদ বেপারী   রহিম বেপারী, ৮০ নং ধানুকা মৌজায় বিভিন্ন খতিয়ান দেখিয়ে ১৪.৭৯ একর সম্পত্তি অন্তর্ভুক্ত করে একটি ভুয়া জাল বয়নামা দলিল তৈরি করেন।ভুয়া জাল বয়নামা দলিলের ভেতর ৮০ নং ধানুকা মৌজায় বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি সম্পত্তির অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

শরীয়তপুর জেলা পরিষদের ভবনসহ ২.৪৫ একর সম্পত্তি (৫৮- ৫৯)সালের ৭১সি   ভুয়া বয়নামা দলিলের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।যাহার আর এস খতিয়ান  ৫৬০ এবং আর এস দাগ ৮৫৭ এবং বর্তমান বিআরএস খতিয়ান  ০২ এবং বিআরএস দাগ ১২৫১ এবং ওই মৌজার  সেবায়েতের  মন্দিরের ৮৯ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে যাহার আরএস খতিয়ান ৮৪০ আরএস দাগ   ১০৭৬।বর্তমানে উচ্চ আদালতে নতুন কম্প্রোমাইজের মাধ্যমে জেলা এলএ শাখার কর্মচারী গোবিন্দ চক্রবর্তী  ও তার বড় ভাই গোপাল চক্রবর্তী কালীমন্দির ও দুর্গা মন্দিরের ৩১ শতাংশ সম্পত্তি নিতে যাচ্ছে যাহা আর এস খতিয়ান ৮৭৪ আর এস দাগ ১০৮০/১২৯৩,১০৮০/১২৯৪, যাহা  নিষ্কর।           

মৃত মোহাম্মদ বেপারীর উপরোক্ত ওয়ারিশগণেরা উপরোক্ত ৭১সি ভুয়া জাল বয়নামা দলিল দিয়ে ১৯৯০ সালে সিভিল মামলা করে একতরফা রায়  ডিক্রী লাভ করেন যাহার দেওয়ানি মামলা নং ৬৫/৯০  ।ওই রায় ডিক্রী দিয়ে ভূমি চক্ররা 

ওই মৌজার প্রকৃত জমির মালিকগণকে হয়রানি করে আসছে।ভূমিদস্যুতের হাত থেকে বাঁচতে প্রকৃত জমির মালিক গণেরা ৬৫/ ৯০ ডিগ্রির বিরুদ্ধে আপিল করে ওই রায় ডিক্রী বাতিল করেন।কাগজপত্র জাল প্রমাণিত হওয়ায় শরীয়তপুর নিম্ন আদালতে দেওয়ানী ৬৫/ ৯০ ডিক্রিটী বাতিল করে।জমি জালিয়াতি চক্রটি দীর্ঘ বছর পর গোপনে বাতিল রায়  ও ডিক্রীকে বহাল রাখার জন্য ঢাকা উচ্চ আদালতে কম্প্রোমাইজের চেষ্টা চালাচ্ছে।ধানুকা মৌজার মনসা মন্দিরের পুরোহিত প্রয়াত  শ্যামাপদ চক্রবর্তী ওরফে  চিনু ঠাকুর এর পুত্র জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এল এ  শাখার কর্মচারী  মন্দিরের সেবায়েতের সম্পত্তি  আত্মসাৎ এর চেষ্টা কারী গোবিন্দ চক্রবর্তী এবং উপরোক্ত জমি জালিয়াতি চক্রটি উচ্চ আদালতে কম্প্রোমাইজের মাধ্যমে নিম্ন আদালতের বাতিল ডিক্রী এবং জাল বয়নামা দলিলটিকে বৈধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। 

সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল এডভোকেট মোঃ হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে জানান, শ্যামাপদ চক্রবর্তী এবং  ফজলুল হক ব্যাপারি গং পক্ষদ্বয় হাইকোর্ট এপিলিট  ডিভিশনে  নিম্ন আদালতের বাতিল ডিক্রী ও জাল বয়নামা দলিল দিয়ে কম্প্রোমাইজের মাধ্যমে সরকারি সম্পত্তি নিতে যাচ্ছে।বিষয়টি আমি জানতে পেরে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করার জন্য আমি এই মামলায় পক্ষভুক্ত হয়েছি।এছাড়াও মোহাম্মদ ব্যাপারীর নামে বয়নামা  দলিলটি জাল প্রমাণিত হয়েছে।

আমি শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি।জমি জাল-জালিয়াতি চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।         

                                                                                                      


Side banner
Link copied!