১৪ বছর বয়সে দেবরের সাথে প্রেমলীলা, অবশেষে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে গৃহবধু।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধু তার চাচাত দেবর সেলিমের প্রেমে পড়ে অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকাবস্থায় শশুড় শাশুড়ির হাতে ধরা পড়ায় দেবরের সাথে বিয়ের দাবীতে ১৭ ফেব্রুয়ারী থেকে অনশনে রয়েছে গৃহবধু।
ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার বাগবাটী ইউনিয়নের দত্তবাড়ি গ্রামে।
দেবর তাত শ্রমিক সেলিম ভাবীর সাথে অনৈতিক কাজে
ধরা খেয়ে সামাজিক দরবার শালিশকে উপেক্ষা করে গৃহবধুর ভালবাসাকে প্রত্যাখানের পায়তারায় মেতে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান- রায়গঞ্জ উপজেলার ব্রক্ষ্গাছা গ্রামের মো. আলামিন আকন্দের কন্যার সাথে দত্তবাড়ি গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে মাদরাসা শিক্ষক মো. রিপনের ৬ মাস আগে বিয়ে হয়।
রিপন তার চাকুরীর সুবাদে স্ত্রীকে তার নিজ বাড়িতে রেখে রায়গঞ্জ মাদরাসায় শিক্ষকতার চাকুরী জন্য রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মাদরাসায় অবস্থান করেন।
স্বামীর অনুপস্থিতিতে গৃহবধু একই বাড়িতে তার চাচাত দেবর এর সাথে গভীর প্রেমে মেতে উঠে এবং দেবর সেলিমের সাথে বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন বলে স্বীকার করেন ১৪ বছরের গৃহবধু।
গৃহবধুর অসামাজিক কার্যকলাপে স্বামী রিপন দিশেহারা হয়ে পড়েন। গৃহবধু স্বামীকে মেনে না নেওয়ায় স্বামী বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ডিফোর্স দেন।
গৃহবধু তার প্রেমিক সেলিমের সাথে বিয়ে বসতে অটল সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে প্রেমিক সেলিমের বাড়িতে অনশন
পালন করছে।
এ বিষয়ে বাগবাটী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন- এ ঘটনায় স্বামীর পরিবার ও মেয়ের পরিবারের লোকজন শালিশী বৈঠকে বসলে সেলিমের পরিবার বৈঠকে হাজির হননি। এতে সামাজিকভাবে কোন আপোষ মিমাংশা করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে এলাকার মাতব্বর শহিদুল ইসলাম বলেন- এ ঘটনায় গ্রাম্য শালিশী বৈঠকে বসেছিলাম কিন্তু প্রেমিক
সেলিমের বাবা সোবাহান ওতার পরিবারের লোকজন হাজির না হওয়ায় কোন প্রকার সুরাহা করা সম্ভব হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :