• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

এলজিইডির মেকানিক্যাল মাসুদকে প্রতিহিংসা মুলকভাবে বদলী করার অভযিোগ


FavIcon
জহুরুল ইসলাম:
প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
এলজিইডির মেকানিক্যাল মাসুদকে প্রতিহিংসা মুলকভাবে বদলী করার অভযিোগ

সরিাজগঞ্জ এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রথম কর্মদিবসে উন্নয়নমুলক কাজের অজুহাতে চৌহালীতে বদলী করলেন মেকানিক্যাল  ফোরম্যান মাসুদ আহমদেক।
মঙ্গলবার (২ এপ্রলি) এল জি ই ডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুল  ইসলাম প্রথম দিনে চেয়ারে বসে বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী সফিকুল ইসলামের আস্থাভাজন ভেবে ব্যক্তি আক্রোশে মেকানিক্যাল ফোরম্যান মাসুদ আহমেদকে শাস্তি মুলক বদলী করার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সরকারের এলজিইডির জেলা দপ্তরে  মেকানিক্যাল  ফোরম্যান এর একজন  দায়িত্ব পালন করেন। কারন জেলা দপ্তরে বেশ কয়েকটি রোলার রয়েছে। এই রোলারগুলো মেকানিক্যাল ফোরম্যান দেখাশোনা করে থাকেন।
মেকানিক্যাল ফোরম্যানের উপজেলা এলজিইডির দপ্তরে কোন দায়িত্ব বা কাজ নেই।
সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম এর স্বাক্ষরে অফিস আদেশে বলা হয় সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলা ব্যাপক উন্নয়নমুলক কাজ চলমান থাকায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে আওতায় দৈনিক  হাজিরা ভিত্তিক (মাষ্টাররোল)অত্র দপ্তরে মেকানিক্যাল ফোরম্যান মো. মাসুদ আহমদেকে চৌহালী উপজলোর দপ্তরে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করার নির্দেশ প্রদান করেন।
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলা একটি নদী কবলিত  এলাকা। চৌহালী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন  এর মধ্যে অধিকাংশ এলাকা নদী গর্ভে  বিলীন হয়ে গেছে । নদীর মধ্যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বিষয়টি নিয়ে  সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকের ধারনা মেকানিক্যাল ফোরম্যান মাসুদ আহমেদ বিদায়ী নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের সাথে সুসর্ম্পক থাকায় তাকে শাস্তিমূলক বদলী করা হয়েছে।
সুত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর মধ্যে অবস্থিত চৌহালী উপজেলায় মেকানিক্যাল (যান্ত্রিক ) এর কোন কর্মকাণ্ড নেই সেখানে ডেপুটেশনে  সরানো হয় মেকানিক্যাল ফোরম্যানকে   যার কোন বৈধতা নেই বলে অভিযোগ উঠেছে । চৌহালী উপজেলাটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এলাকা হওয়ায় জেলা থেকে  কোন রোলার দেওয়া হয়না। চৌহালীতে এলজিইডির রাস্তার কাজের জন্য রোলার ভাড়া করে নিয়ে  আসে ঠিকাদাররা ।
এলজিইডি মসনদে বসে বিনা কারনে মনগড়া সিদ্ধান্ত  গ্রহন করা সরকারী বিধিমালা  লংঘন বটে। এলজিইডি নির্বাহী  প্রকৌশলীর উন্নয়নের নামে মিথ্যাচার ও মানসিক নির্যাতনের  ষড়যন্ত্র বলে উল্লখে করেন সংশ্লষ্টি দপ্তরের কর্মচারী কর্মকর্তাগণ। 
এহেন কর্মকাণ্ডে সিরাজগঞ্জের সচেতন মহলে নানা গুনজন শুরু হয়ছে। গত ২ এপ্রিল বদলী ও ৩ এপ্রিল ছাড় পত্র প্রদান করা হয় যা সম্পুন্ন  নীতিমালা বহির্ভূত ।
এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী মো.মনিরুল ইসলাম বলেন -মাষ্টার রোলে চাকুরীর ক্ষেত্রে  আমি বদলী ও ছাড়পত্র দিতে পারি ।  তবে আমি বদলী করেছি যে কোন সময় জেলা সদরে নিয়ে  আসতে পারি। আমাকে একটু সুযোগ দেন আমি সিরাজগঞ্জের জন্য ভাল কছিু করতে চাই।
বিষয়টি মাননীয় প্রধান প্রকৌশলী মহাদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী কর্মকর্তা ।
 


Side banner
Link copied!