মানিকগঞ্জের সিংগাইর পৌর এলাকার কাংশা মহল্লার একটি মাদ্রাসার অফিস কক্ষে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভিকটিম বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ গতকাল ধর্ষক রিপন (২৫) ও তার ভাই সুজল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সারোটিয়া গাজী গ্রামের মো. ছমেদ মিয়ার পুত্র। মামলার এজাহার সূত্রে প্রকাশ, ওই মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র রিপন গত ৪ মাস আগে মোবাইল ফোনে এক সন্তানের জননী ওই নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে গিয়ে দৈহিক সম্পর্কে মিলিত হতো তারা। এরই ধারাবাহিকতায় মাদ্রাসাটি বন্ধ ও পরিচালকের (মুহতামিম) অনুপস্থিতির সুযোগে গত ২৯শে নভেম্বর রাত ৮টার দিকে ভিকটিমকে অফিস কক্ষে নিয়ে রিপন রাত যাপনসহ ধর্ষণ করে। ঘটনা টের পেয়ে পরদিন স্থানীয় লোকজন ওই কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন।এ সময় অভিযুক্ত রিপনের পক্ষ নিয়ে তার ভাই সুজন মিয়া ও পার্শ্ববর্তী আজিমপুর এলাকার আবু বক্কর এবং জসিম উদ্দিন মীমাংসার আশ্বাস দিয়ে তাকে সরিয়ে দেয়।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া রিপন ওই মাদ্রাসার প্রাক্তন ছাত্র হওয়ায় পরিচালকের অনুপস্থিতিতে সে ওই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে ছিলেন। এদিকে এ ঘটনার জের ধরে ভিকটিমের স্বামী তাকে মৌখিক তালাক দিয়েছেন বলে জানা গেছে।এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাহফুজ রানা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত দু’জনের মধ্যে মামলার ১নং আসামি রিপনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :