রংপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলা : এএসআইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

রংপুর প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২১, ০৭:৩৯ পিএম

রংপুরের হারাগাছে চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী গণধর্ষণ মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আসামি মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে ৩২৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পিবিআই। এতে ধর্ষণ ও মানবপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১২টায় রংপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালেতের কোর্ট ইন্সপেক্টরের মাধ্যমে হারাগাছ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে ৩২৩ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র জমা দেন।পরে তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে সাথে নিয়ে পিবিআই রংপুরের এসপি এবিএম জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, বস্তুগত, বৈজ্ঞানিক, ডিএনএ পরীক্ষা ও তদন্তের মাধ্যমে সংঘবদ্ধভাবে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ওই ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু, সহযোগী সুমাইয়া পারভীন মেঘলা, সম্পা ওরফে সমাপ্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, সহযোগিতা ও মানবপাচার আইনে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। এছাড়া আবুল কালাম আজাদ ও বাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।রাহেনুলের বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ না আসার ব্যাপারে পুলিশ সুপার বলেন, ১৮ সেপ্টেম্বর রাহেনুল ওই ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরের দিনে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার সময় তার সম্পৃক্ততা পাওয়া না যাওয়ায় রাহেনুলের বিরুদ্ধে শুধু ধর্ষণ ও মানবপাচারের অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে।পুলিশ সুপারের দাবি, রাহেনুল পুলিশ সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়ে সমাজে এ বার্তা দেয়া হলো যে কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।মামলার এজাহারে বলা হয়, নিজেকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে দু’সন্তানের জনক রংপুর মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রাহেনুল ইসলাম ওরফে রাজু হারাগাছের আয়নাল হকের মেয়ে দশম শ্রেণী পড়ুয়া ওই ছাত্রীর সাথে প্রেম ও শারীরিক সম্পর্ক করে। গত বছর ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর মেট্রো ডিবির ওই এএসআই নগরীর ক্যাদারের পুল এলাকায় একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নিজে ধর্ষণের পর সংঘবদ্ধচক্র দিয়ে ধর্ষণ করায়। পরে নিবিড় অনুসন্ধানের মাধ্যমে একটি মামলা হয়। পরে অভিযুক্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।