• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১১০ তম জন্মবার্ষিকী আজ


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: জুন ২০, ২০২১, ০৩:২১ পিএম
কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১১০ তম জন্মবার্ষিকী আজ
কবি বেগম সুফিয়া কামালের ১১০ তম জন্মবার্ষিকী আজ

বেগম সুফিয়া কামাল বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা কবি, লেখিকা ও আধুনিক বাংলাদেশের নারী প্রগতি আন্দোলনের একজন পুরোধা ব্যক্তিত্ব।  ১৯১১ সালের জুন মাসের আজকের দিনে এই মহান কবি বরিশালের শায়েস্তাবাদে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। যে সময়ে সুফিয়া কামালের জন্ম তখন বাঙালি মুসলিম নারীদের গৃহবন্দী জীবন কাটাতে হতো। স্কুল-কলেজে পড়ার কোনো সুযোগ তাদের ছিলো না। পরিবারে বাংলা ভাষার প্রবেশ একরকম নিষিদ্ধ ছিল। সেই বিরুদ্ধ পরিবেশে সুফিয়া কামাল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ পাননি। তিনি পারিবারিক নানা উত্থানপতনের মধ্যে স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন এবং তাঁর কর্মময় জীবন সকলের জন্য বিশেষ করে নারী জাগরণের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে বাংলা সাহিত্যে এবং ইতিহাসে। 
১৯৩৭ সালে তাঁর গল্পের সংকলন 'কেয়ার কাঁটা' প্রকাশিত হয়। ১৯৩৮ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'সাঁঝের মায়ার' মুখবন্ধ লেখেন কাজী নজরুল ইসলাম। বইটি বিদগ্ধজনের প্রশংসা কুড়ায় যাদের মাঝে ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও।

ভাষা আন্দোলনে তিনি নিজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেন এবং এতে অংশ নেয়ার জন্য নারীদের উদ্বুদ্ধ করেন। ১৯৫৬ সালে শিশুদের সংগঠন কচিকাঁচার মেলা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৬১ সালে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক রবীন্দ্রসঙ্গীত নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সংগঠিত আন্দোলনে তিনি সক্রিয় ছিলেন। ওই বছরেই তিনি ছায়ানটের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ১৯৬৯ সালে মহিলা সংগ্রাম কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেন এবং পাকিস্তান সরকার কর্তৃক ইতোপূর্বে প্রদত্ত তমঘা-ই-ইমতিয়াজ পদক বর্জন করেন। ১৯৭০ সালে মহিলা পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মার্চে অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের মিছিলে নেতৃত্ব দেন। 
স্বাধীন বাংলাদেশে নারীজাগরণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে তিনি উজ্জ্বল ভূমিকা রেখে গেছেন। ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শরিক হয়েছেন, কার্ফ্যু উপেক্ষা করে নীরব শোভাযাত্রা বের করেছেন। মুক্তবুদ্ধির পক্ষে এবং সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিপক্ষে আমৃত্যু তিনি সংগ্রাম করেছেন। প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন।

বাংলা সাহিত্যে তাঁর সৃষ্টিকর্মের মধ্যে কবিতা ছাড়াও তিনি রচনা করেছেন আরও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাহিত্যকর্ম-  গল্প, ভ্রমনকাহিনি, স্মৃতিকথা, আত্মজীবনীমূলক রচনা, শিশুতোষ ও অনুবাদ। তাঁর কর্মময় জীবনে বিভিন্ন অবদানের জন্যে 'স্বাধীনতা দিবস পদক', 'একুশে পদক' এবং 'বাংলা একাডেমী পুরস্কার' সহ অসংখ্য পুরষ্কারে ভূষিত হন।


Side banner
Link copied!