• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

ভোটে প্রভাব বিস্তারের প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা : সিইসি


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৪, ০১:২৪ পিএম
ভোটে প্রভাব বিস্তারের প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা : সিইসি

জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা।

প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ হুঁশিয়ারি দেন সিইসি।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের দলীয় সিদ্ধান্ত না মানার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো দায় নেই। পুরোটাই রাজনৈতিক নৈতিকতার বিষয়। 

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। নির্বাচনে কে এলো, কে এলো না এটা নির্বাচন কমিশনের দেখার বিষয় না।


নির্বাচনের কমিশনের কাজ হলো নির্বাচন আয়োজন করা। তিনি আরো বলেন, যারা নির্বাচন করবে, তাদের প্রার্থী বলা হয়। একজন, দুইজন, চারজন, পাঁচজন প্রার্থী হতে পারে। আমাদের কাছে থাকবে প্রার্থী।

প্রার্থীকে ভোট দেবে। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের পক্ষ থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান হাবিবুল আউয়াল।

আরেক প্রশ্নে জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'এটা মোটেও নিয়মরক্ষার ভোট নয়, নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন।

নির্বাচন অবাধ হবে। নির্বাচন প্রভাবিত করতে চাইলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সিইসি আরো বলেন, আমাদের আইনে আছে যদি একজন প্রার্থী থাকেন, তাহলে তিনি নির্বাচনে জয়ী ঘোষিত হবেন। কেউ যদি এভাবে বিজয়ী হয়ে থাকেন, সেটা আইন অনুযায়ী।

বিএনপির নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি পদে ৪ জন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই, সে কথা বলা যাবে না।

প্রথম ধাপের ভোটের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গেও বৈঠক করা হয়েছে। আগে কখনো একই জেলায় ধাপ ভিত্তিক নির্বাচন হয়নি। টোটাল ভোট স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন উৎসাহ উদ্দীপনায় হয়। জাতীয় নির্বাচন থেকে স্থানীয় নির্বাচন বেশি জমজমাট হয়।

আগামীকাল ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৪১ উপজেলায় ১১ হাজারের বেশি ভোটকেন্দ্রে চলবে ভোটগ্রহণ। ভোট উপলেক্ষে এসব উপজেলায় ৮ মে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ভোটে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি ও ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।


Side banner
Link copied!