• ঢাকা
  • রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২

ভোজ্যতেল গুদামে জোরদার অভিযান চান ফুলবাড়ীর ভোক্তা ও খুচরা বিক্রেতারা


FavIcon
অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) :
প্রকাশিত: মে ১১, ২০২২, ১১:৪৩ পিএম
ভোজ্যতেল গুদামে জোরদার অভিযান চান ফুলবাড়ীর ভোক্তা ও খুচরা বিক্রেতারা
ছবি: সংগৃহীত

ভোজ্যতেলের পাইকারি বাজার ও পরিবেশকদের গুদামে জোরদার অভিযান চান দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর ভোক্তা ও খুচরা দোকানিরা। তারা মনে করছেন, সয়াবিন তেলের গোপন খনি থেকে যে হাজার হাজার লিটার উদ্ধার করা হচ্ছে, এর চেয়ে কয়েক হাজার গুণ বেশি ভোজ্যতেল মজুদ রয়েছে পরিবেশক ও পাইকারদের হাতে। 

ঈদের আগের হিসাব ধরলে চার মাসে প্রায় ৫৮ কোটি ৭৫ লাখ ভোজ্যতেল খালাস করেছেন আমদানিকারকরা। এসব তেল পরিশোধন হয়ে বাজারে গেছে, বলছেন আমদানিকারকরা। দেশে বছরে সয়াবিন তেলের চাহিদা ১২ লাখ টনের বেশি। সেই হিসেবে এত তেল কোথায় গেল সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও বাজার তদারকি সংস্থাগুলো যদি সারাদেশে সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করে তাহলে সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলবে, এমনই বলছেন খুচরা বিক্রেতা এবং সাধারণ ভোক্তারা।

ফুলবাড়ী উপজেলার পৌর এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বিক্রেতারা পাইকার থেকে ২০ লিটার চাইলে তেল দেয়া হচ্ছে ৮ লিটার। খুচরা বিক্রেতারাই জানাল আসল রহস্য।

উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর বাজারের এক মুদি দোকানি জানান, ফুলবাড়ী পৌর বাজারের তেলের মার্কেটগুলোতে অভিযান চালানো হোক। তারা যদি অভিযানের সময় মার্কেট বন্ধ করে পালিয়ে না যায়, তাহলে সব কিছু পরিষ্কার হবে।

পৌর বাজারের এক মুদি দোকানি জানান, পরিবেশকরা প্যাকেট ও বোতলজাত সয়াবিন দিচ্ছে না। সঙ্কট বাড়লে পরিবেশক ও পাইকারদের লাভ। ছোট বিক্রেতাদের গুদামে অভিযানে কয়েক হাজার লিটারই পাওয়া যাবে, পরিবেশক ও পাইকারদের গুদামে হানা দিলে বের হয়ে আসবে থলের বিড়াল।

এদিকে ফুলবাড়ীতে সয়াবিন তেলের বাজার অস্থির হলেও উপজেলা প্রশাসন কিংবা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর দিনাজপুরের কোন অভিযান নেই বললেই চলে। মাঝে মধ্যে দু-একটি লোক দেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে তাও আবার মুখ দেখে দেখে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তবে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভোজ্যতেলের সংকট কেটে যাবে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর দিনাজপুর জেলার সহকারী পরিচালক মমতাজ বেগম বলেন, অধিক মুনাফা লাভের আমায় কেউ যেন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির মাধ্যমে ভোজ্যতেল নিয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে নজরদারিসহ প্রতিনিয়ত অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযোগের সামান্যত অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেলে অর্থদ- করা হচ্ছে সংশ্ল্ষ্টিদেরকে। 
 


Side banner
Link copied!