
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিনগুণ বেড়েছে সবজির দাম। খরতাপের গরম আর কয়েক দিনের টানা বর্ষণে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সবজি ব্যবসায়ীরা। এদিকে হঠাৎ দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন।
আজ রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় প্রতিটি সবজির দামই অনেক বেড়েছে আড়াই থেকে তিনগুণ। এক সপ্তাহ আগে পটলের কেজি ছিলো ১০ থেকে ১৫ টাকা। একই পোটল গতকাল রবিবার পাইকারি ও খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাক দরে। এছাড়া ৩০ টাকার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, ১৫ টাকার ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। করলার দাম ৩০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা কেজি। ২০ টাকার কাকরল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে।
দাম বাড়ায় সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে কাঁচা মরিচ। নিত্যপ্রয়োজনীয় এ খাদ্য পণ্যটি এ বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকা কেজিতে। তিনদিন আগেও মরিচের দাম ছিল প্রকার ভেদে ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা।
ফুলবাড়ীর পৌর বাজারে সবজি কিনতে আসা আসাদুল ইসলাম বলেন, সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। যেভাবে সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে তাতে করে আমাদের দুর্দশা ও দুর্গতি বাড়ছে এবং বাড়বে।
কাঁটাবাড়ী গ্রামের রিকশা চালক আতিয়ার রহমান বলেন, যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, যারা ভ্যান চালিয়ে খাই। বাজারে সবজির দাম যেভাবে বেড়ে গেছে, তাতে সংসার চালানোই কঠিন হয়ে পড়েছে। নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও তাদের আয়তো আর বাড়েনি। আগে যাছিল তাই-ই রয়ে গেছে।
খুচরা সবজি ব্যবসায়ি গোলাম মোস্তফা বলেন, অনাবৃষ্টি এবং কয়েকদিন লাগাতার বৃষ্টি এই দুই-ই কারণে সবজির উৎপাদন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। তবে পাইকারি ব্যবসায়িরা বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি বাজারে সরবরাহ করায় বাজারে সবজির কোন ঘাটতি দেখা দেয়নি।
পাইকারি সবজি ব্যবসায়ি আবেদ আলী ও সোহাগ হোসেন বলেন, তীব্র গরম আর কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এই জন্যই সব সবজির দাম চড়া। দুই থেকে তিনদিন হলো সব সবজির দাম বাড়ছে। ব্যবসায়িরা বিরামপুর এবং পাঁচাবিবি হাট থেকে এসব সবজি পাইকারি দরে কিনে এনে খুচরা বাজারে সরবরাহ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :