• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: অক্টোবর ২২, ২০২৩, ১১:৪৪ এএম
দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস
ছবি - সংগৃহীত

পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলা ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের (তহসিলদার) কর্মকর্তা সেলিম খানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ভূমি সংক্রান্ত যেকোন সেবার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।                  
                                                                                                                                            সরেজমিনে জানা গেছে, ধুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তুলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহক থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রারি করছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
                                                                                                                                                সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন এমন ব্যক্তির সংখ্যা কম নয়। ধুলিয়া ভূমি অফিসে আসা এক গ্রাহক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান,ভূমি কর্মকর্তা সেলিম খান  সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি শুরু করেছেন। ভূমি খারিজের তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নামে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা নেন  তিনি। তার রয়েছে একটি দালাল সিন্ডিকেট । আর এই দালাল সিন্ডিকে মাধ্যমে জমির মালিকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন তিনি। তার দাবিকৃত ঘুষের অর্থ দিতে অস্বীকার করলে নানা টালবাহানা করে জমির মালিকদের হয়রানি করেন তিনি। ভূমি উন্নয়ন কর গ্রহণে তিনি কয়েকগুণ টাকা নিয়ে থাকেন।                                              
এই ভূমি অফিসের চৌকাঠ পেরুলেই ভূমি কর্মকর্তা সেলিম খানের নিজের করা আইন মানতে হয় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে।                                       
তার দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভুমি মালিকেরা। ভূমি কর্মকর্তা সেলিম খান দিনের পর দিন তিনি দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ জনগণ ও নিরীহ মানুষের নিকট হতে। ঘুষখোর এই ভূমি কর্মকর্তা তাঁর ইচ্ছামত দুর্নীতি করে চলেছেন। ভূমি অফিসে চাকরি করে অবৈধ ভাবে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। এ ব্যাপারে জানতে ভূমি কর্মকর্তা সেলিম খানের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোনে করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবী এই ভূমি কর্মকর্তার দুর্নীতি রোধে দুদকের সু-হস্তক্ষেপ জরুরি।
 


Side banner
Link copied!