• ঢাকা
  • সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

সিরাজগঞ্জে কলেজ অধ্যক্ষ ও সিকিউরিটি গার্ডের মারপিটে ২ শিক্ষাথী আহত


FavIcon
জহুরুল ইসলাম:
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২৩, ০৭:৩৬ পিএম
সিরাজগঞ্জে কলেজ অধ্যক্ষ ও সিকিউরিটি গার্ডের মারপিটে ২ শিক্ষাথী আহত
ছবি - সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ১ম ও ২য় বর্ষের দু-জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে মো. সাকিব হাসান খান (৩৬) ও মারুফ হাসান (২১) কে মারপিটে রক্তাক্ত জখমে আহত করার অভিযোগ উঠেছে রাশিদাজ্জোহা সরকারী মহিলা কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল মো. লুৎফর রহমান,নাইটগার্ড মো. বাবু ও দারোয়ান মো. তারেকের বিরুদ্ধে।মো. সাকিব হাসান খান সয়াধানগড়া মধ্যপাড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম খানের  ছেলে ও মারুফ হাসান হাসান শেখের ছেলে।
এই ঘটনায় বুধবার মোকাম সদর থানা আমলী আদালতে আহত শিক্ষার্থী মো. সাকিব হাসান খানের বাবা আমিনুল ইসলাম খান তিন জনের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের জন্য একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুরে পরীক্ষা কেন্দ্র সরকারী রাশিদাজ্জোহা মহিলা কলেজের ক্যাম্পাসের অফিস কক্ষের সামনে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স বাংলা বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র মো. সাকিব হাসান খান ও ইংরাজী বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্র মারুফ হাসান ফাইনাল পরীক্ষার জন্য রাশিদাজ্জোহা সরকারী মহিলা কলেজে পরীক্ষা দিতে যান। এ সময় সাকিব হাসানের নিকট একটি মাটন মুঠোফোন থাকায় তাকে  প্রবেশ করতে দেয়া হয়না। সাকিব ফোনটি দারোয়ানের নিকট রাখার জন্য অনুরোধ করেন। দারোয়ান তারেক ফোনটি না রেখে সাকিবকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। এই ঘটনায় অপর শিক্ষার্থী মারুফ হাসান প্রতিবাদ করলে তারেক ও বাবু শিক্ষার্থী দুইজনকে ভিতরে ঢুকিয়ে গেট রন্ধ করে দেয়। বিষয়টি দারোয়ান ও নাইটগার্ড ভাইস প্রিন্সিপালকে জানান। ভাইস প্রিন্সিপাল মো. লুৎফর রহমান ঘটনাটি মিমাংশা না করে সাকিব ও মারুফকে মেরে কলেজ থেকে বের করে দেবার নির্দেশ দেন। এই সুযোগে বাবু সাকিবকে বাটাম দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারী মারপিট করতে থাকে। বাবুর বাটামের আঘাতে সাকিবের বিভিন্ন স্থানসহ মাথা  রক্তাক্ত জখম হয়। এ সময় মারুফ এগিয়ে এলে তারেক মারুফকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। তারেকের কিলঘুষিতে মারুফের বাম চোখ রক্তাক্ত জখম হয়।  আহতদের চিৎকারে ছাত্ররা এগিয়ে এসে দুইজন শিক্ষার্থীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা  শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার মামলা দায়েরের পর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাহিদ রহমান শরীফ বিষয়টি তদন্ত করার জন্য সিরাজগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপালকে নির্দেশনা দিয়েছে।
এই ঘটনায় রাশিদাজ্জোহা সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. খাদেমুল ইসলাম বলেন- আমি অফিসে ছিলাম না। তবে যতটুকু শুনেছি শিক্ষার্থী সাকিব কৌশল করে স্মার্ট ফোন নিয়ে ভিতরে ঠোকার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে এই ঘটনাটি ঘটেছে।  
রাশিদাজ্জোহা সরকারী মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান জানান-আমি কোন নির্দেশনা দিতে পারি না। যে ঘটনা ঘটেছে তা ভিডিও ফুটেজ ও পরিদর্শনকারী পুলিশ কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও ৩য় শ্রেণির কর্মচারী কর্তৃক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাহীনতা দুইজন শিক্ষার্থীর এক বছরের জন্য শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হওয়ায়  সিরাজগঞ্জের সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দারী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবার।


Side banner
Link copied!