
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার উজানখলসী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার মো. খায়রুল ইসলাম বর্তমানে অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভূমি সংক্রান্ত কাজের সঙ্গে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন। খায়রুল ইসলাম এমনভাবে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন যে, তার বিরুদ্ধে কথা বললেই কঠোর প্রতিশোধের শিকার হতে হয়, এমনটাই জানিয়েছে অনেক ভুক্তভোগী।
ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে স্থানীয়রা উজানখলসী ভূমি অফিসের কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। অভিযোগ রয়েছে যে, খায়রুল ইসলাম নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পরচা (খসড়া) তুলাসহ ভূমি সংক্রান্ত প্রায় সকল কাজে সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে বাড়তি টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করা যায় না, এমনটিও জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
এছাড়াও, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহকদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার পরও বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই দুর্নীতির মূল হোতা খায়রুল ইসলাম, যিনি ভূমি অফিসে আসা গ্রাহকদের সঙ্গে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করে তাদের কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। সরকারি নীতিমালার বাইরে অতিরিক্ত উৎকোচ ছাড়া কোনো কাজ হয় না, এমন অভিযোগও উঠে এসেছে।
ভুক্তভোগীরা আরও জানিয়েছেন, ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা নামজারির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যও মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করেন এবং এই টাকাগুলো বিভিন্ন স্তরে ভাগ করে দেওয়া হয়। অনেকেই দাবি করেছেন, এই ভূমি অফিসের দুর্নীতি রোধে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা (দুদক) দ্রুত হস্তক্ষেপ করলে হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তহশিলদার মো. খায়রুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি কোনো ধরনের দুর্নীতির সাথে জড়িত নন। তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ক্ষোভ তার বিরুদ্ধে গুরুতর প্রশ্ন তুলছে।
এই পরিস্থিতিতে, উজানখলসী ভূমি অফিসের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :