
শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে রয়্যাল ক্রুজ ও রাজারহাট সী লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। এসময় দুই লঞ্চের বেশ কয়েকজন কর্মচারীসহ আহত হয়েছে বলে জানা যায়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার ভোরে দুই লঞ্চের ২৮ যাত্রীকে আটক করে বেতাগী থানা পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ঢাকার সদরঘাট থেকে এম ভি রয়েল ক্রুজ ও এম ভি রাজারহাট সী লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরগুনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। মাঝরাতে লঞ্চ ধীরে চলা ও লঞ্চের ভিতরের সেহেরির জন্য খাবারের প্যাকেজের দাম বেশি রাখা নিয়ে কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে লঞ্চের স্টাফদের তর্ক হয়।
এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে লঞ্চের বেশ কয়েকজন স্টাফ এবং নিরাপত্তা কর্মী আহত হয়। লঞ্চ কতৃপক্ষ পুলিশে খবর দিলে পুলিশ বেতাগী লঞ্চঘাটে এসে ২৮ জন যাত্রীকে থানা হেফাজতে নিয়ে আসে। এ খবর পেয়ে আটক যাত্রীদের স্বজনেরা থানা চত্বর ঘেরাও করে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। সবশেষ যৌথ বাহিনীর সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
উপজেলার মোকামিয়ার এলাকার মাছুয়াখালী গ্রামের এক বৃদ্ধা বলেন, আমার ছেলে ট্রাকে কাজ করে। লঞ্চে মারামারির সময় সে ছেলে ঘুমিয়ে ছিলো। সে কোন অপরাধ করেনি। লঞ্চ থেকে নামার সময় তাকে বিনা অপরাধে জোর করে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
উপজেলার কেওড়াবুনিয়া এলাকার শান্তা আক্তার বলেন, আমার ভাই পারভেজ ঢাকায় একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করে। সে ঈদে বেড়াতে বাড়ি আসতেছিলো। তাকে কেবিনের ভিতর থেকে আটক করা হয়েছে।
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে লঞ্চে মারামারির করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের সত্যতার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আলোকিত নিউজ লিঃ (Incorporation no: 152855/2019) | কপিরাইট © ২০২২ আলোকিত নিউজ লিমিটেড এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত।
Design & Developed by Bongosoft Ltd.
আপনার মতামত লিখুন :