• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২

শরীয়তপুরে ছাত্রদল ও এনসিপির সংঘর্ষ, আহত-৫


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২২, ২০২৫, ০৮:২৯ পিএম
শরীয়তপুরে ছাত্রদল ও এনসিপির সংঘর্ষ, আহত-৫

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুর সদর চৌরঙ্গীর মোড় ছাত্রদল ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় একাধিক ককটেল বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চৌরঙ্গ মোড়ে।

জানা যায়, শহিদ ওসমান হাদীর হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে জেলা শহরে মিছিল বের করে এনসিপি নেতাকর্মীরা। মিছিলটি চৌরঙ্গী এলাকায় আসলে মোটরসাইকেল সাইট দেয়াকে কেন্দ্র করে এক ছাত্রদলকর্মীর সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় এনসিপি নেতাকর্মীদের।

এ সময় ছাত্রদল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ছাত্রদল কর্মীদের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চৌরঙ্গী এলাকায় সংঘর্ষে জড়ায় উভয়পক্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলের আঘাতে এ পর্যন্ত ছাত্রদলের ৫ নেতাকর্মী আহত হয় বলে জানান সাবেক ছাত্র দলের সভাপতি রাশেদ খান মেনন। আহতদের শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আহতরা হলেন, ইসাহাক সরদার(৩৪), নাঈম ইসলাম(২৬), নিরব(১৯), আরমান দরর্জি(২৫) ও মোহাম্মদ আলী(৩২) এরমধ্যে নাঈম ইমলামের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা পাঠানো হয়েছে।

এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে ঘটনার স্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য উপস্থিত থাকলেও কোন ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। প্রায় ৪০ মিনিট পর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। বর্তমানে সংঘর্ষ থামলেও এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রদলের এক কর্মীকে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আটকে রাখে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এলে অতর্কিত হামলা চালায় এনসিপির নেতাকর্মীরা। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’

এনসিপির জেলা কমিটির সাবেক যুগ্ম সমন্বয়কারী সবুজ তালুকদার বলেন, ‘ছাত্রদলের এক ছেলে মোটরসাইকেল নিয়ে আমাদের মিছিলে ঢুকে যায় এবং আমাদের এক কর্মীর ওপর হামলা চালায়। পরে আমরা তাকে ধরে রাখলে ছাত্রদলের সদস্য সচিব সোহেল ও তার লোকজন এসে আমাদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।’

ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, এনসিপি নামধারী কিছু লোক ছাত্রদলের উপর হামলা করেছে। এতে আমাদের ৫ জন আহত হয়। একজনকে আশংকাজনক অবস্খায় ঢাকা পাঠানো হয়েছে। 

পালং মডেল থানার খারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, মটরসাইকে একজনের গায়ে লাগলে, তা নিয়ে প্রথমে হাতাহাতি হয়। পরে এ বিষয়টি নিয়ে গ্রæপের মধ্যে সংঘষ হয়। একটি গুরুপ ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়।


Side banner
Link copied!