গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী (অঃদাঃ) ফিরোজুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘুষ না দেয়া পর্যন্ত কোনো বিলে বা কাগজে স্বাক্ষর করেন না এই প্রকৌশলী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার জানান, উন্নয়ন কাজের প্রাক্কলন প্রণয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়ন, এডিপির প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ, স্বেচ্ছাচারিতা, নথি স্বাক্ষরে দীর্ঘসূত্রিতা, হয়রানি ও অসদাচরণ করে আসছেন ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজুর রহমান। এছাড়া টেন্ডারে অনিয়ম করে পছন্দের ঠিকাদারকে টাকার বিনিময়ে কাজ পাইয়ে দেন এই প্রকৌশলী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে বিভিন্ন ইউনিয়নে করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় চার লাখ বিরানব্বই হাজার টাকা কোনো প্রকার করোনা সামগ্রী না দিয়েই বিল তুলে নেন ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজুর রহমান। এছাড়া অফিসের আসবাবপত্র কেনার জন্য এক লাখ টাকার বিল তুলে নেন তিনি। অফিসের কম্পিউটার কেনা ও মেরামত বাবদ ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে তোলেন এক লক্ষ টাকা।
অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী সূত্রে জানা যায়, অফিসের মোটরসাইকেল মেরামত ও তেল বাবদ দুবারে ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে টাকা তুলে নেন ফিরোজুর রহমান। অফিসের আনুষঙ্গিক বিল বাবদ আড়াই লক্ষ টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়েও টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার ফিরোজুর রহমান বলেন, আমি ব্যস্ত আছি।
বিষয়টি অবগত করে জানতে চাইলে ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :