• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সালুটিকর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শাহিন আহম্মদের দুর্নীতি


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৪, ০১:৩০ পিএম
সালুটিকর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শাহিন আহম্মদের দুর্নীতি

চট্টগ্রাম জেলার সালুটিকর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ- সহকারী কর্মকর্তা শাহিন আহম্মদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়েছেন, এমন ব্যক্তির সংখ্যা অনেক। অভিযোগে জানা যায়, সালুটিকর ভূমি অফিসে যোগদান করার পর থেকেই শাহিন আহম্মদ সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। টাকা ছাড়া কোনো কাজ করেন না তিনি । এখানে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে,খারিজ, খাজনা প্রদানসহ অন্যান্য কাজে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ঘুস-দুর্নীতির মহোৎসব প্রকাশ্যেই চলছে সালুটিকর ভূমি অফিসে। এই অফিস কর্মকর্তা শাহিন আহম্মদের অনিয়মই নিয়ম। খাজনার দাখিলার জন্য ভূমি উন্নয়ন কর সরকার নির্ধারিত ফির চেয়ে অনেক বেশি টাকা আদায় করেন তিনি । কিন্তু রসিদ দেওয়া হয় সরকারি হিসাবেই। এভাবে প্রতি মাসে বিপুল পরিমান অর্থ  টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন এই কর্মকর্তা। দৌরাত্ম বেড়েছে দালাল সিন্ডিকেটেরও। নাগরিকদের দক্ষ, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব ভূমি সেবা প্রদানে ভূমি মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেছে নানামুখী পদক্ষেপ। সরকারের এই অসাধারণ উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে শাহিন আহম্মদের মতো দুর্নীতিপরায়ণ কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা । এই কর্মকর্তার ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতি। যা রীতিমতো বিস্ময়কর।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই ভূমি কর্মকর্তা শাহিন আহম্মদের মাসিক ঘুষ বাণিজ্যর পরিমাণ প্রায় ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা। যা দুদক অনুসান্ধান করলেই সততা মিলবে ।

মানিক নামে স্থানীয় এক ভূমি মালিক বলেন, তার দাবিকৃত ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকার করলে নানা টালবাহানা করে জমির মালিকদের হয়রানি করেন তিনি।

সরেজমিনে জানা গেছে, ভূমি অফিসে খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তোলা সহ সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিকভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। তার দুর্নীতির কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ভুমি মালিকেরা। ঘুষখোর এই ভূমি কর্মকর্তা তার ইচ্ছামত দুর্নীতি করে চলেছেন।

সেবানিতে আসা ভুক্তভোগীরা আরও বলেন , তার চাহিদা মত ঘুষের টাকা না দিলে কোনো কাজ হবেনা দিনের পর দিন ঘুরতে হবে। পরবর্তী সময়ে দালালদের মাধ্যমে গেলে কাজ করেন এই ভূমি কর্মকর্তারা।

ভুক্তভোগীরা আরও জানান, নিজের ক্ষতির কথা চিন্তা করে কোথাও ভয়ে অভিযোগ করি না।
এ বিষয়ে জানতে, সালুটিকর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি উপ - সহকারী কর্মকর্তা শাহিন আহম্মদের  মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোনে করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি ।
 


Side banner
Link copied!