• ঢাকা
  • বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২

চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রকৌশলী শাহদাত হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২৫, ০৮:৪২ পিএম
চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রকৌশলী শাহদাত হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!

চাঁদপুর জেলা পরিষদের সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহদাত হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্পে ঘুষ, অনিয়ম ও কমিশন ভিত্তিক বিল -ভাউচারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ্য টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে । স্থানীয় ঠিকাদার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে যোগসাজশে একটি প্রভাবশালী দুর্নীতির নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছেন তিনি—এমন দাবি উঠেছে সংশ্লিষ্ট মহলে।

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে শাহদাত হোসেন সহকারী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই তিনি একাধিক প্রকল্পে পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ পাইয়ে দিতে প্রভাব খাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় ঠিকাদারদের দাবি, প্রকল্প অনুমোদন থেকে বিল পরিশোধ পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মোটা অঙ্কের টাকা কমিশন দিতে হয়। 

বেশ কয়েকজন ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,

“তিনি নগদ অর্থ হাতে না পাওয়া পর্যন্ত কোন প্রকল্পের বিল ছাড় দেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে অনেক প্রকল্প কত টাকার মধ‍্যে শেষ করতে হবে তা তিনি নির্ধারণ করে দেন এবং বাকি টাকা তাকে দেওয়ার জন‍্য ঠিকাদারদের প্রতি চাপ প্রয়োগ করেন। যে কোন প্রকল্প থেকে প্রতি বিলে তাকে ১০-১২% টাকা দিতে হচ্ছে ঠিকাদারদের। এতে কাজের মান ও ঠিকাদারগণ ক্ষতিগ্রস্ত হন। 


স্থানীয় সূত্র বলছে, প্রভাবশালী ঠিকাদারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন শাহদাত হোসেন । তাঁদের মাধ্যমে জেলা পরিষদের অধিকাংশ কাজের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে আসে। নতুন ঠিকাদাররা অভিযোগ করছেন—তিনি অর্থের বিনিময়ে প্রকল্প বণ্টন করেন এবং যাঁরা ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাঁদের প্রস্তাব বাতিল করে দেন।

একাধিক ঠিকাদারের দাবি, তাঁর ঘনিষ্ঠ ঠিকাদারদের মাধ্যমে কাজ করিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার ভাগ নিজের কাছে নেন। এতে প্রকল্পের মান নিয়ন্ত্রণেও শৈথিল্য দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ।


শাহদাত হোসেনের রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েও স্থানীয় মহলে আলোচনা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তিনি সাবেক শ্রমমন্ত্রী আবুল কালাম মজুমদারের আত্মীয় হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনিক সুরক্ষা পেয়ে আসছেন।                  সরেজমিনে পরিদর্শন করে জানা যায় যে, এসব বিষয়ে জেলা পরিষদের বর্তমান প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক জনাব মহসিন উদ্দিন এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। জেলা পরিষদের সিইও এ ব‍্যপারে তেমন কিছু জানেন না । ওনারা দুজনই এখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে আছেন। এ কারনে সহকারী প্রকৌশলী এ সুযোগ মত রাজনৈতিক লোকজন ব‍্যবহার করে অবৈধ ভাবে তার কর্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বিস্তারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন আগামীতে...............।
 


Side banner

অপরাধ বিভাগের আরো খবর

Link copied!