মুদি দোকানদার থেকে হঠাৎ করেই বনে গেলেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক, সঙ্গী হিসেবে আবার বেছে নিলেন এক চা দোকানিকে। এ মানবপাচারকারী চক্রের অপকর্মে সঙ্গ দিয়েছে বৈধ কিছু এজেন্সিও। চক্রের মূল হোতা টুটুলকে সাত সহযোগীসহ আটক করে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব বলছে, শিগগিরই ধরা পড়বে নেপথ্যের হোতারাও।অথচ এ চক্রের মূল হোতা টুটুল মুদি দোকানদার, আর তার সঙ্গী তৈয়ব চা দোকানি। গত ৫ বছরে বিদেশে পাঠানোর নামে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
র্যাব-৪ এর সিও মোজাম্মেল হক বলেন, বিদেশে যারা নারী পাচার করে বা মানবপাচার করে তাদের সঙ্গে সক্ষতা গড়ে উঠে। অন্য আরেক সহকারী তৈয়ব আলী চা দোকানদার ছিল। এই প্রতারকদের প্রতারণ ছিল অভিনব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব বলছে, মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠাতে নারীদেরকেই টার্গেট করতো চক্রটি। গন্তব্যে পৌঁছানোর পরই কেড়ে নেওয়া হতো পাসপোর্ট, মুঠোফোন। এরপর করা হতো জিম্মি, পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হতো আরও অর্থ। আর এই অপকর্মে তাদের সহযোগিতা করত অনুমোদিত কিছু রিক্রুটিং এজেন্সিও।
মোজাম্মেল হক বলেন, অনুমোদিত যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি আছে তাদের মাধ্যমেই তারা এ নারীদের পাঠিয়ে থাকে। বিদেশে যাওয়ার পর পরই বিমানবন্দর থেকেই তাদের পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয়। ফলে তারা খুব অসহায়ত্ব বোধ করত এবং তাদের বিক্রি করে দেওয়ার পরে তারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারত না। তখন টুটুল উল্টো তাদের অভিভাবকদের চাপ প্রয়োগ করত। বলত, আরও দুইলাখ টাকা না দিলে সে বাংলাদেশে আসতে পারবে না, পাসপোর্ট পাবে না আবার বেতন ও পাবে না।
প্রভাবশালী কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে সকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে মানবপাচারকারী চক্রের অন্যতম হোতা টুটুল ও তার সহযোগীসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :