• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারি এলপিজির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২২, ০৮:২৫ পিএম
সরকারি এলপিজির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব
ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে দেশে ১২ কেজি সরকারি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) একেকটি সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে ৫৯১ টাকায়। এর বিপরীতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ১২ কেজি তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য ১ হাজার ২৪২ কোটি টাকা। সরকারি এলপিজির দাম কম হওয়ায় এ খাতে বাড়ছে দুর্নীতি, হচ্ছে অনিয়ম। এক্ষেত্রে সরকারি এলপিজির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)।
কম দামে গ্যাস বিক্রি করার সুবিধা পাচ্ছে না সাধারণ গ্রাহকরা। অন্যদিকে সরকারি গ্যাসের দাম কম হওয়ায় অনেকেই ক্রস ফিলিং করে তা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নামে বিক্রি করছে। এতে করে ক্ষতির মুখে পড়ছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে ক্ষতি পোষাতে নিজেদের সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম বাড়িয়ে এক হাজার টাকা করার জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে (বিইআরসি) প্রস্তাব দিয়েছে এলপিজিএল। গত মে মাসে দেওয়া ওই চিঠিতে চারটি বিকল্প প্রস্তাবও দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এ ব্যাপারে এলপিজিএল কর্তৃপক্ষ বলছে, আগে সরকারি এলপি গ্যাসের মূল্য বিপিসি নির্ধারণ করলেও ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মতো সরকারি এলপিজির মূল্যও নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি।
 
মূলত বিইআরসি বেসরকারি বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানের এলপিজির দাম সৌদি কার্গো প্রাইসের (সিপি) ওপর নির্ধারণ করে। অন্যদিকে এলপিজিএলের বোতলজাত গ্যাস আমদানি করতে হয় না বলে স্থানীয় মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দাম নির্ধারণ করে বিইআরসি।
 
২০২১ সালের ১২ এপ্রিল থেকে এলপিজিএলের সাড়ে ১২ কেজি গ্যাসের মূল্য ভোক্তা পর্যায়ে ৫৯১ টাকা নির্ধারণ করে। বর্তমানে ওই দর বলবৎ থাকলেও ভোক্তা পর্যায়ে সেই সুফল পৌঁছায় না। অন্যদিকে এ মূল্য নির্ধারণ করার সময় বিপণন কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা, যমুনা অয়েলের সমান পরিবহন ব্যয় (ফ্রেইটপুল চার্জ) এবং কমিশন নিয়ে এলপিজিএলের সঙ্গে এ ধরণের সম্পর্কের অবনতি সৃষ্টি হয়।

এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরামকো। এটি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপি ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করেছে বিইআরসি। ৩৫:৬৫ হিসাবে প্রোপেন ও বিউটেনের মিশ্রণ হিসেবে গড় মূল্য নির্ধারণ করা হয়। চলতি মাসে (জুন) সৌদি আরামকোর প্রতি টন প্রোপেন ও বিউটেন ছিল ৭৫০ ডলার করে। এর আগে গত এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ দর ওঠে এলপিজির। ওই মাসে প্রতি টন প্রোপেন ৯৪০ ডলার এবং বিউটেন ৯৬০ ডলার হিসেবে বিক্রি হয় এলপিজি।
জানা গেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠান এলপি গ্যাস লিমিটেডে উৎপাদিত গ্যাসের মূল্য আগে নির্ধারণ করতো অভিভাবক প্রতিষ্ঠান বিপিসি। গত বছর সরকারি নির্দেশে এলপিজির দাম নির্ধারণ করছে বিইআরসি। সবশেষ ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বিপিসি প্রতি সাড়ে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারণ করে ৬শ টাকা। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্তে ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ভোক্তা পর্যায়ে সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডার ৫৯১ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫৯১ টাকায় বিক্রির কথা থাকলেও খোদ এলপিজিএল কার্যালয়ের গেটেই ৮০০-৮৫০ টাকায় বিক্রির তথ্য চাউর হয়। এ কারণে গত বছরের মাঝামাঝি প্ল্যান্ট গেটে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি বিক্রি বন্ধ করে দেয় এলপিজিএল। 
 


Side banner
Link copied!