• ঢাকা
  • সোমবার, ১৯ মে, ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ভারতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৮ শিশুসহ নিহত ১৭


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৫, ১১:৫২ এএম
ভারতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৮ শিশুসহ নিহত ১৭

হায়দরাবাদের ঐতিহাসিক চারমিনার সংলগ্ন গুলজার হাউস এলাকায় এক তিনতলা ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ১৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে আটজন শিশু, যাদের বয়স দেড় বছর থেকে সাত বছরের মধ্যে। এ ঘটনায় আরো চারজন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৯ মে) সকালে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

পুরনো হায়দরাবাদের একটি সরু গলির ভেতরে অবস্থিত ভবনটিতে নিচতলায় ছিল দুটি গহনার দোকান। উপরতলায় ছিল বাসস্থান। কর্তৃপক্ষ জানায়, সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে কৃষ্ণা পার্লস নামে দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় এবং তা দ্রুত পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।

ভবনটির মালিক ৭০ বছর বয়সী প্রহ্লাদ আগরওয়াল নিজেও অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন।তার পরিবারের সদস্যরা প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন। ঘটনার সময় তাদের আত্মীয়রাও সেখানে অবস্থান করছিলেন।ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ওয়াই নাগি রেড্ডি জানান, ‘আমরা সকাল ৬টা ১৬ মিনিটে ফোন পাই এবং সঙ্গে সঙ্গে ১১টি ফায়ার ইঞ্জিন পাঠানো হয়। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ১৭ জন শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছেন।প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুনের সূত্রপাত।’

 

অন্য এক কর্মকর্তা জানান, দোকানে সংরক্ষিত কাঠের কারণে আগুন আলো ভয়াবহভাবে জ্বলে ওঠে। পরে একটি এসি বিস্ফোরিত হলে পুরো ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সকাল ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনে ওপরের তলায় যাওয়ার জন্য মাত্র একটি সরু সিঁড়ি ছিল, যার প্রস্থ এক মিটার।শর্ট সার্কিটের স্থানটির খুব কাছেই সিঁড়ি থাকায় পুরো সিঁড়িটিই ধোঁয়া এবং তাপে ভরে যায়। ফলে কেউ বের হতে পারেনি। প্রবেশপথে বাইক পার্ক করা থাকায় উদ্ধার অভিযানও ব্যাহত হয়।

 

নিহতদের পরিবারের সদস্যরা উদ্ধার অভিযানের বিলম্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এক স্বজন বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্স অনেক দেরিতে আসে। ছয় বছরের এক শিশুকে বাঁচানো যেত যদি সময়মতো অ্যাম্বুলেন্স আসত। সরকার কী করছে?’

তেলেঙ্গানার রাজ্য মন্ত্রী পন্নাম প্রভাকর জানান, ‘ঘটনাটি নিয়ে আমরা তদন্তের নির্দেশ দেব। এখানে কোনো ষড়যন্ত্রের বিষয় নেই।’ তেলেঙ্গানা মুখ্যমন্ত্রী এ রেভন্থ রেড্ডি শোক প্রকাশ করে জানান, আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এক্স-এ পোস্টে লেখেন, ‘হায়দারাবাদ অগ্নিকাণ্ডে নারীদের ও শিশুদের মৃত্যু অত্যন্ত মর্মান্তিক। নিহতদের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে  নিহতদের পরিবারকে ২ রাখ রূপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রূপি করে সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মোদি। তেলেঙ্গানা রাজ্য সরকারও নিহতদের পরিবারকে পাঁচ লাখ রূপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।


Side banner
Link copied!