• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

দেশরত্ন শেখ হাসিনার সান্নিধ্য পেলে সব কষ্ট ভুলে যেতাম


FavIcon
এস.এম.উজ্জল:
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০১৯, ০৭:৩৩ পিএম
দেশরত্ন শেখ হাসিনার সান্নিধ্য পেলে সব কষ্ট ভুলে যেতাম

যশোর জেলার অন্তর্গত অভয়নগর থানাধীন শ্রীধরপুর ইউনিয়নের মথুরাপুর গ্রাম নিবাসী। তিনি একজন সদালাপী, পরোপকারী, গরীব দুঃখীদের নির্ভরযোগ্যে মার্জিত মানুষ । যে ব্যাক্তি একাধারে রাজনীতি, সমাজনীতি, সংগঠক ও ত্যাগী নেতা,সাধারণ মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। যার নাম মোঃ রওশন মোড়ল, পিতা (মৃত) আঃ মালেক মোড়ল,মাতা (মৃত) রহিমা খাতুন, পেশায় রাজনীতি,সমাজ সেবক ও সংগঠক । ধর্মঃ মুসলিম, জাতীয়তা বাংলাদেশী। জন্ম ১২/০১/১৯৫৪ সাল। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন পরোপকারী ও ন্যায় পরায়ন ব্যাক্তি। অল্পবয়সে এলাকার মানুষের নজর কাড়তে সক্ষম হন তিনি হয়ে ওঠেন সবার মধ্যেমনি। লেখা পড়ার পাশাপাশি শুরু করেন সংগঠন ও রাজনীতি। ছাত্রজীবনে ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যুক্ত হন তিনি। একাধারে ছাত্ররাজনীতির কর্মি হয়ে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত চলমান থাকে। ১৯৭১ সালে ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহনের মাধ্যমে শুরু করে দেশ স্বাধীনের প্রচেষ্টা। তিনি ওতোপ্রোতো ভাবে যুদ্ধ না করলেও পরোক্ষ ভাবেই মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছেন নানা ভাবে, তাদের খাবার সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করেছেন তিনি। যে কারনে রাজাকার বাহিনী তার বসত বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়, পরিবারের লোকজন নিয়ে দূর্বিসহ দিন কাটায় রওশন মোড়ল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর যখন মুক্তি যুদ্ধের সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য সবাই ব্যাস্ত হয়ে পড়েন তখন রওশন মোড়ল চক্ষু লজ্জায় মুক্তিযুদ্ধের সনদ না নিয়ে দেশ গঠনে নিয়োজিত হন। পড়াশুনায় ১৯৭০ সালে এসএসসি, ১৯৭২ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পরবর্তী নওয়াপাড়া কলেজে ডিগ্রিতে ভর্তি হলেও ৩য় সেমিস্টারে পৌঁছে চলমান রাজনৈতিক কারনে পড়াশুনা বন্ধ হয়ে যায় তার। একাধারে শুরু হয় রাজনীতির মিছিল মিটিং, উৎতপ্ত জীবনে সহযোগিতা করেন তার পরিবারের লোকজন। ১৯৭২ সাল থেকে শ্রীধরপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক পদে ২০০০ সাল পর্যন্ত দায়ীত্ব পালন করেন। ১৯৭৮ সাল থেকে বিআরডিবি সমবায় সমিতির ৮ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান এর দায়িত্ব পালন করেন। বিআরডিবি সমবায় সমিতির পক্ষে দায়িত্ব পালন করায় ১৯৯০ ও ১৯৯৬ সালে দুইবার সরকার কর্তৃক জেলা শ্রেষ্ঠ সমবায় পুরষ্কার গ্রহন করেন। পরবর্তী সময়ে উক্ত ইউনিয়নের পর্যায়ক্রমে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগের সভাপতি হন, উক্ত পদে অদ্যবধি দায়ীত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি অভয়নগর উপজেলা কৃষকলীগের নির্বাচিত সভাপতির পদে ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যান। নওয়াপাড়া মহিলা কলেজের অভিভাবক মন্ডলীর সদস্য হিসেবে দুইবার নির্বাচিত হন। শ্রীধরপুর ইউনিয়নের সাধারণ পাঠাগারের সহ-সভাপতি পদে নিয়োজিত রয়েছেন। মথুরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কমিটির সভাপতি পদে দির্ঘ্যদিন দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। শ্রীধরপুর ইউনিয়ন কলেজ কমিটির সদস্য পদে বহাল রয়েছেন । মথুরাপুর মোড়লপাড়া জামে মসজিদ এর প্রায় বারো বছর যাবৎ সভাপতির দায়ীত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ব্যাক্তিজীবনেও রওশন মোড়ল অতি সাধারণ একজন মানুষ যা এলাকা সুত্রে জানা। এক ছেলে ও দুই কন্যা সন্তানের জনক তিনি। সংসার জীবনে অনেক হিসেব নিকেশ করেই চলতে হয় তাকে। আয় রোজগার বলতে তেমন না থাকলেও ছেলের আয় দিয়ে কোনো রকম জীবন কেটে যাচ্ছে তার । প্রিয় এই নেতা কষ্টের সাথে জানায় সারাজীবন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে মানুষের সেবা করার লক্ষে চারবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেও সামান্য ভোটের ব্যাবধানে সুযোগ হতে বঞ্চিত হয়েছি। ত্যাগী এই নেতা আরো বলেন প্রিয় নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সান্নিধ্য পেলে সব কষ্ট ভূলে গিয়ে সার্থক জীবন নিয়ে পরপারে যেতে পারতেন। এই সরল মানুষটি দির্ঘ্যদিন ধরে বক্ষব্যাধী সহ কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে ভূগছেন। তবুও পথচলা থেমে নেই এই মানুষটির, এলাকার বিপদগ্রস্ত মানুষের খবর পেলেই ছুটে যান তারকাছে। খোঁজ খবর রাখেন এলাকার বিপদগ্রস্ত মানুষের। নারী পুরুষ বয়োবৃদ্ধ ছোটো বড় সবার কাছে সে প্রিয় মানুষ। এলাকার কারোর কিছু হলেই ছুটে যান সে, সঙ্গী হিসেবে রয়েছে তার চল্লিশোর্ধ পুরাতন বাই-সাইকেলটি। জীবনের শেষঅব্দি পর্যন্ত যেনো মানুষের সেবা করে যেতে পারেন তার চাওয়া।


Side banner
Link copied!