• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক তাহের হত্যার আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে বাধা নেই


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: মার্চ ২, ২০২৩, ১১:৪৮ এএম
অধ্যাপক তাহের হত্যার আসামিদের ফাঁসি কার্যকরে বাধা নেই
ছবি - সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. এস তাহের হত্যা মামলায় আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আসামিদের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে এই মামলার দুই আসামি অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসি কার্যকরে আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না।

বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আসামিদের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদেশের জন্য ২ মার্চ দিন ধার্য করেছিলেন আদালত।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক তাহেরের মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারের ম্যানহোল থেকে উদ্ধার করা হয়। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি নিহতের ছেলে সানজিদ আলভি আহমেদ রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
এই মামলায় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছিল পুলিশ। মামলার বিচার শেষে ২০০৮ সালের ২২ মে চারজনকে ফাঁসির আদেশ ও দুজনকে খালাস দেন রাজশাহীর দ্রুত বিচার আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, নিহত অধ্যাপক ড. তাহেরের বাসার কেয়ারটেকার মো. জাহাঙ্গীর আলম, জাহাঙ্গীর আলমের ভাই নাজমুল আলম ও নাজমুল আলমের স্ত্রীর বড় ভাই আব্দুস সালাম।

বিচারিক আদালতের রায়ের পর আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল মামলার দুই আসামি মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের ফাঁসির দণ্ডাদেশ বহাল রেখে অপর দুই আসামির সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। এরপর আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। পাশাপাশি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামির দণ্ড বৃদ্ধি চেয়ে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে গত বছরের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায় বহাল রাখেন। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। এরপর আসামিরা রিভিউ আবেদন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রিভিউর ওপর শুনানি শুরু হয়।


Side banner
Link copied!