• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১

অপরাধ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেবে পিএসসি : চেয়ারম্যান


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম
অপরাধ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেবে পিএসসি : চেয়ারম্যান

প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় যাদের নাম উঠে এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ হলে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।
তিনি বলেন, যে অপরাধ করার অভিযোগ উঠেছে, তা যদি প্রমাণ হয়; তাহলে পিএসসির এখতিয়ারে আছে—এমন সব ধরনের সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রস্তুত। এক্ষেত্রে আমরা কাউকে ছাড় দেবো না।
মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে পিএসসি ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) ওপর প্রচুর পরীক্ষার চাপ রয়েছে বলে জানিয়ে মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, নন ক্যাডারের ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে কোনো একটা ডিপার্টমেন্টে ১২০ ধরনেরও পদ রয়েছে।
সোহরাব হোসাইন বলেন, সব প্রশ্ন যে আউট হয়েছে, এটা তদন্তের আগে আমি বলতে পারব না। হয়েছে এটাও বলতে পারবো না, হয়নি এটাও বলতে পারব না।
পিএসসির চেয়ারম্যান দাবি করেন, যে প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রশ্নপত্র পাঠানো হয় সেখানে ফাঁস করার সুযোগ খুব কম। তারপরও বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। যদি কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 
তিনি বলেন, গত পাঁচ জুলাইয়ের রেলওয়ের পরীক্ষা ছাড়া যেসব পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সেগুলো প্রমাণিত হলেও আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। দীর্ঘদিন হয়ে যাওয়ায় বাতিলের বিষয়টি জটিল বলেও অকপটে স্বীকার করেন তিনি। 

পিএসসির চেয়ারম্যান যখন এ সংবাদ সম্মেলন করছিলেন তখনও এসব পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে পিএসসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন ঐসব পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা চাকরিপ্রার্থীরা। পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে নিজেদের অনড় অবস্থান প্রকাশ করেন তারা। 
রেলওয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা চাকরি প্রত্যাশী ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের সরকারি কর্ম কমিশনের সামনে বিক্ষোভ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা ১০ জন আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের আমি বুঝিয়ে বলেছি। আমাদের ওপর প্রচুর পরীক্ষার চাপ। নন ক্যাডারের ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে কোনো একটা ডিপার্টমেন্টে ১২০ ধরনেরও পদ রয়েছে। ১২০ ধরনের পরীক্ষা নেওয়াটা আমরা কমিশনে বসে সহজিকরণ করেছি। পরীক্ষায় কমন একটা প্রশ্ন করে সবাইকে প্রাথমিকভাবে কমানো হয়েছে। তারপর তার বিষয়ে তাকে মূল্যায়ন করার জন্য ভাইভাতে দুইজন এক্সপার্ট রেখেছি। সেখানে কারো ক্ষতি বা লাভ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
সাধারণত পরীক্ষাগুলো নিয়ে সুপারিশ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নিয়োগের জন্য। এখন আপনাদের এখান থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের যে অভিযোগ এসেছে, সেটা যদি সত্য হয় তাহলে ওই নামগুলো দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চাকরি থেকে অব্যাহতি সুপারিশ করবেন কিনা জানতে চাইলে বিপিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এটা আপনাকে আগেই বলেছি, এটা খুব কঠিন প্রশ্ন। এই মুহূর্তে আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ না করে বা কোনো বিধি-বিধান না দেখে এর উত্তর দেওয়া সম্ভব না। সামগ্রিক দিক বিবেচনা না করে ১২ বছর আগে যিনি চাকরি পেয়েছেন, তার বিরুদ্ধে যদি কোনো কিছু আসে সেটা আইন আদালতের পরামর্শ ছাড়া কারো পক্ষে বলা সম্ভব না। এটা এখনি বলা যাবে না।


Side banner
Link copied!