
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আর্থিক ও তহবিল পরিচালনা নীতিমালা তৈরি হয়েছে। এনসিপির শুভাকাঙ্খীদের দলের নামে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে টাকা না দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। গণচাঁদা ও নীতিমালা অনুযায়ী ডিজিটাল সিস্টেমগুলোতে পাওয়া অর্থ চলবে এনসিপি।
গতকাল বুধবার দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান এনসিপির নেতারা।রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ টাওয়ারে অবস্থিত জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির আর্থিক নীতিমালা ঘোষণা ও ক্রাউড ফান্ডিং কার্যক্রম বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ‘আপনার অনুদান : আগামীর বাংলাদেশ’ স্লোগানে দলীয় আর্থিক নীতিমালা ঘোষণার কথা জানানো হয়। দলটি দলীয় সদস্যদের চাঁদা, গণচাঁদা, জনগণের দান, কর্পোরেট অনুদানে চলবে। আয়ের জন্য টি-শার্ট, মগ, বই, প্রকাশনা বিক্রি করবে।
দলটির নেতারা বলছেন, তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির বিষয়টি নিশ্চিত করতে চান। ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা সরাসরি রসিদ সংগ্রহ করে এনসিপিকে আর্থিক অনুদান দেওয়া যাবে। এর বাইরে দলের কাউকে ব্যক্তিগতভাবে টাকা না দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে দলটি।
জুলাই আন্দোলন ক্রাউডফান্ডিং বা গণচাঁদা থেকে পরিচালিত হয়েছিল উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সামগ্রিক দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তনের জন্য সব দলকে আর্থিক স্বচ্ছতার বিষয়টি নিয়ে আসতে হবে।একই সঙ্গে এই বিষয় নির্বাচন কমিশনকেও কঠোর হতে হবে। কারণ নির্বাচনের সময় কিন্তু অর্থ এবং পেশিশক্তির একটা অপব্যবহার হয়ে থাকে। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন কঠোর আইন তৈরি করলে এবং সে আইনগুলো যথাযথ প্রয়োগ করলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
কোনো একক ব্যক্তির কাছে অর্থ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘সবার কাছে আহ্বান থাকবে যারা আমাদের সমর্থন করতে চান বা আমাদের সহযোগিতা করতে চান কেউ কোনো ব্যক্তিগতভাবে কাউকে টাকা কিংবা সহযোগিতা দেবেন না। আমাদের কেন্দ্রীয় একটি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং আমাদের সবগুলো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইল অ্যাকাউন্ট পার্টির নামে।তাই কোনো ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা কোনো ব্যক্তির কাছে কেউ অর্থ দেবেন না। জাতীয় নাগরিক পার্টি এই নীতিতে বিশ্বাস করে না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জায়গা থেকে সততা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আগামী দিনে আমাদের অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, সেটা আমরা জনগণের সামনে উন্মুক্ত করব।’
আপনার মতামত লিখুন :